নন্দন দত্ত, বীরভূম: যাত্রীবাহী বাসের ছাদে বস্তায় করে লুকিয়ে চলছিল কয়লা পাচার। গোপন সূত্রে হানা দিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ কয়লা আটক করা হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি এলাকায়। ঘটনায় বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকে আটক করা হয়েছে। আটক কন্ডাক্টর বুদ্ধদেব দাস রাজনগর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি। শুধু তাই নয়, ওই বাসের মালিক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজনগর সভাপতি মানিক সেন। তৃণমূল শ্রমিক নেতার বাসে কয়লা পাচারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার তদন্ত চলছে।
জানা গিয়েছে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকা রাজনগর থেকে সিউড়িগামী একটি যাত্রীবাহী বাস যাচ্ছিল। চন্দ্রপুর থানা এলাকায় ওই বাসটিকে আটক করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বীরভূম জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখা অভিযান চালায়। বাসের ছাদে উঠতেই দেখা যায় থরে থরে বস্তা সাজানো। দেখা যায়, ৩০টি বস্তাতেই কয়লা রয়েছে। বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই কয়লার বৈধ কোনও কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি। এরপরই যাত্রীদের নামিয়ে বাসটিকে আটক করে চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তৃণমূল শ্রমিক নেতা মানিক সেনের বাসেই এভাবে কয়লা পাচার হচ্ছে? তিনি কি বিষয়টি জানেন? সেই প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে বাসের চালক বুদ্ধদেব দাস রাজনগর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি। ফলে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য আরও বেড়েছে। এনফোর্সমেন্ট বিভাগের ডিএসপি স্বপন চক্রবর্তী বলেন, “ঝাড়খণ্ড থেকে চোরাই কয়লা রাজনগরের বাসের ছাদে করে সিউড়ি বা সাঁইথিয়া যাচ্ছিল নিয়মিত। এদিন সকালে বাস আটকে ছাদ থেকে ৩০ বস্তা কয়লা উদ্ধার হয়। যার বহনের জন্য কোনও বৈধ কাগজ বাসের চালক, কন্ডাক্টর দেখাতে পারেননি। তাদের চন্দ্রপুর থানায় আটক করে মামলা রুজু করা হয়েছে।”
একসময় বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে কয়লা পাচার চলত বলে অভিযোগ। নিয়মিত পুলিশি অভিযান সেই পাচার রুখে দিয়েছে। তাহলে কি এবার যাত্রীবাহী বাসগুলিকে পাচারের জন্য ব্যবহার করছে পাচারকারীরা? সেই প্রশ্ন উঠেছে। গোটা বিষয়টির তদন্ত চলছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে খবর।