আজকাল ওয়েবডেস্ক: জিরো খতিয়ান জমিতে চাষ করতে আর যাবেন না। বাংলাদেশে জেল খেটে দেশে ফিরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কোচবিহারের শীতলকুচির অপহৃত কৃষক উকিল বর্মন। সেই অসহায় উকিল বর্মণের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। উকিল বর্মনের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। সোমবারই কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালে অস্থায়ী কর্মীদের সুপারভাইজার হিসাবে নিয়োগ করা হয় উকিল বর্মণের ছেলে পরিতোষ বর্মনকে। চাকরি না পেলে সংসার চালানো খুবেই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল বর্মণ পরিবারের। চাকরি পেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ও কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিককে ধন্যবাদ জানিয়েছে পরিবার।
এই বিষয়ে উকিল বর্মণ জানান, আমি বাংলাদেশের জেলে না খেয়ে দিন কাটিয়ে এসেছি। আমার মনে বড় ভয় ছিল। যদি ছেলেরা ওপারের জমিতে কাজ করতে যায়, তাঁদেরকে যদি বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা তুলে নিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে এসে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাই, আমি ও আমার পরিবার ওপারের জমিতে আর চাষ করতে যাব না। আমাদের যদি কোনও কাজের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে ভাল হয়। তারপর রাজ্য সরকার আমাদের পাশে দাঁড়ায়। আজ আমার ছেলের একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। আজ যখন ছেলে চাকরিতে যোগ দিল খুব আনন্দিত লাগছিল। তার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ও কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিককে ধন্যবাদ জানাই।
চাকরিতে যোগ দিয়ে পরিতোষ বর্মণ জানান, কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে জমিতে আর কাজ করতে চাইছে না পরিবার এমনকি আমি নিজেও কাজ করতে যেতে চাচ্ছি না। তাই রাজ্য সরকার আমাকে একটা কাজের বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজকে আমি কাজে যোগদানও করলাম। আমার খুব ভাল লাগছে কাজ পেয়ে। এই কাজটা না পেলে হয়তো আমরা অসহায় হয়ে যেতাম। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল কাঁটাতারের ওপারে কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন পশ্চিম শীতলকুচির গ্রামের উকিল বর্মন। তারপর দীর্ঘ ২৮ দিন পর দেশে ফিরে আসেন। এই পরিস্থিতিতে কী করে দিন গুজরান হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। আজ রাজ্য সরকারের তরফে উকিল বর্মণের ছেলেকে চাকরি দেওয়া হয়। তাতে ওই পরিবারের কিছুটা আর্থিকভাবে সহায়তা হবে বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল।