চা বাগান নিয়ে কেন্দ্রের লাগাতার টালবাহানা! দিল্লিতে টি বোর্ড ঘেরাওয়ের নির্দেশ মমতার
প্রতিদিন | ২০ মে ২০২৫
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: চা বাগান নিয়ে কেন্দ্রের টালবাহানা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সোমবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে বাণিজ্য সম্মেলনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দিল্লিতে টি বোর্ড ঘেরাওয়ের নির্দেশ দিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে। তাঁর সঙ্গে মেয়র গৌতম দেব ও জিটিএ প্রধান অনীত থাপা-সহ বাগান মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি নেপাল থেকে চা ঢুকে দার্জিলিং চায়ের বদনাম করায় উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা।
উত্তরে শিল্প সম্মেলন সেখানে আলোচনায় চা এর কথা উঠবে না তা হতেই পারে না। এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত শিল্পপতিরা চা বাগানের হাল হকিকত তুলে ধরেন। ওই সম্মেলনে চা বাগানের সমস্যা নিয়ে বেশকিছু প্রস্তাব ও অভিযোগ উঠে আসে। এদিন জলপাইগুড়ি স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশিনের সভাপতি বিজয় গোপাল চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে টি বোর্ডের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ জানান। এদিন বিজয় গোপাল অভিযোগ করে বলেন, “টি বোর্ড গত বছর ৩০ নভেম্বর নতুন চা পাতা তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যা পরে রাজ্য সরকার খারিজ করে দেয়। একইভাবে তারা এবছরও একই সিদ্ধান্ত নিয়ে চক্রান্ত করতে চাইছে। তাতে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা চাই আপনি বিষয়টা দেখুন।” এটা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভে ফেটে পরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এসব একদম মেনে নেওয়া যাবে না। ভোটের রাজনীতি করা হচ্ছে। ভোটের আগে বন্ধ বাগান খুলে দেব, সব করে দেবো। ভোট হলেই আবার সব বন্ধ হয়ে যাক। এটা মানা যাবে না।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন,”মলয় ঘটক দায়িত্ব নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল তৈরি করে যেখানে অনীত থাপা ও গৌতম দেব থাকবে তাদের নিয়ে দিল্লিতে টি বোর্ড ঘেরাও করে রাখা হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জানতে হবে তারা কী চায়।”
পাশাপাশি এদিন নেপালের চা ভারতে ঢোকা নিয়ে ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই বিষয়ে দ্রুত একটি টি টেস্টিং ল্যাবরেটরি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন উদ্যোগপতি রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দার্জিলিং চা এর একটা আলাদা ব্র?্যান্ডিং করতে হবে। প্রতিটি বাগান নিজের ব্র?্যান্ডিং করতে পারবেন। যেমন মকাইবাড়ি চা, ঠিক ওভাবেই বাকিরা করতে পারবে। তার জন্য আমি সহযোগিতা করব।” এই শুনেই মুখ্যমন্ত্রী তাকে অনুরোধ করেন যে একটি কমিটি বানিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য। এই কমিটির প্রধান হবেন রুদ্র চট্টোপাধ্যায়। দ্রুত বাগান মালিকদের নিয়ে বৈঠক করতেও বলেন।