কেন্দ্রের ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আওতায় নতুন সাজে সেজে উঠল পানাগড় স্টেশন। ২০২৪ সাল থেকে এই কাজ শুরু হয়েছিল। আগামী ২২ মে পানাগড়-সহ দেশের মোট ১০৩টি স্টেশনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে পানাগড় স্টেশনে এখন সাজো-সাজো রব। সোমবার প্রস্তুতি পর্বের পরিদর্শনে এসেছিলেন রেলের আধিকারিকরা।
পানাগড় স্টেশনের এক ও দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী ছাউনি। উদ্বোধনের দিন এখানে বসবে জায়ান্ট স্ক্রিন। স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীদের সেই স্ক্রিনে দেখানো হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে সেই কাজ।
রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পানাগড় স্টেশনের একদিকে রয়েছে স্থল সেনার ছাউনি। অন্য দিকে বায়ু সেনার। তাই সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি জওয়ান এবং তাঁদের পরিবারদের জন্য বহু দূরপাল্লার ট্রেনই থামে পানাগড়ে। এ বার তাঁদের সুবিধার্তে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে ঝাঁ চকচকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন বিশ্রামাগার। যাত্রীদের ওভারব্রিজে ওঠা-নামার সুবিধার জন্য স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে বসানো হয়েছে লিফট।
এ ছাড়া, ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর আওতায় কয়েক মিটার ছাড়াছাড়া বসানো হয়েছে ডাস্টবিন। যাত্রীদের বসার জন্য অতিরিক্ত চেয়ারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি লাগানো হয়েছে পাখা। মোবাইল চার্জেরও সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে। স্টেশনের দুই ধারেই থাকছে অত্যাধুনিক টিকিট কাউন্টার। কাজেই টিকিট কাটতে গিয়ে ট্রেন মিস করার ভয় থাকবে না। ২৪ ঘণ্টাই কোলা থাকবে টিকিট কাউন্টারগুলি।
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের পাশপাশি জোর দেওয়া হয়েছে স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও। স্টেশন এবং স্টেশন চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি-তে। এগুলো স্পেশাল সিসিটিভি ক্যামেরা। শুধু ভিডিয়ো নয়, সেই সঙ্গে অডিয়ো অর্থাৎ, শব্দও রেকর্ড করতে পারে এই ক্যামেরাগুলি। এমনকী রাত্রিবেলাও একেবারে পরিষ্কার ভিডিয়ো রেকর্ড করতে পারে এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি।
সব আয়োজন সারা। এখন উদ্বোধনের প্রহর গুনছেন পানাগড়বাসী।