ডিএসও-টিএমসিপি খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল পিবিইউ, জখম ১১, ছাত্র ধর্মঘট ঘিরে উত্তেজনা
বর্তমান | ২০ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: সোমবার ডিএসও ও টিএমসিপি’র সংঘর্ষে উত্তাল হল কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও সামনের রাস্তায়। ডিএসও’র দাবি, টিএমসিপির হামলায় ১১ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। চাকরিহারাদের উপর পুলিসি ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ডিএসও। কর্মসূচি সফল করতে সকালে পিবিইউতে আসেন ডিএসও’র কর্মী-সমর্থকরা। পিকেটিং চলাকালীনই তাঁদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের বক্তব্য,ডিএসও যেকোনও ইস্যুতে মাঝেমাধ্যেই ধর্মঘট ডাকে। ছাত্রছাত্রীদের বিরক্ত করার জন্যই এটা করা হয়। এদিন আমাদের সংগঠনের ছেলেরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ধর্মঘটের প্রতিবাদ করলে ওরা পালিয়ে যায়। টিএমসিপির কেউ ওদের গায়ে হাত তোলেনি।
ডিএসও’র পিকেটিংয়ের সময়ই বচসা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। মারপিটে দু’পক্ষই জড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য পড়ুয়াদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। টিএমসিপি-ডিএসও’র মারপিটকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। পুলিসের সামনেই কিল-চড়-ঘুষি চলতে থাকে দু’পক্ষের মধ্যে। কয়েকজন তরুণীকেও দেখা যায় মারপিটে জড়িয়ে পড়তে। উপস্থিত পুলিস কর্মীরা কোনও মতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ডিএসও’র দাবি, তাদের ১১ জন কর্মী আহত। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। জখমদের মধ্যে ছ’জনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডিএসও’র কোচবিহার জেলা সম্পাদক আসিফ আলম বলেন, শিক্ষকদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বাংলাজুড়েই ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এজন্যই পিবিইউতে পিকেটিং চলছিল। সকাল১০টা থেকে সবকিছু শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছিল। কিন্তু বেলা ১২টা নাগাদ আচমকা টিএমপিসি আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনী আমাদের ছাত্রদের উপর আক্রমণ চালায়। এতে মোট ১১ জন আহত হন। তারমধ্যে ছ’জন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়নদীপ গোস্বামী বলেন, ডিএসও যেকোনও ইস্যুতে হঠাৎ হঠাৎ ছাত্র ধর্মঘট ডাকে। ছাত্রছাত্রীদের বিরক্ত করার জন্যই এটা করে থাকে ওরা। সেই কারণেই ওদের ধর্মঘটে ছাত্রছাত্রীরা সাড়া দেন না। এদিনও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ডিএসও’র কর্মী সমর্থকরা ছাত্রছাত্রীদের বাধা দিচ্ছিলেন। তখনই টিএমসিপি’র সদস্যরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করলে ওরা পালিয়ে যায়। শিক্ষাঙ্গণে ডিএসও’র অশান্তি তৈরির এই অপচেষ্টাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ধিক্কার জানায়।