• জ্যৈষ্ঠের বৃষ্টিতে জলমগ্ন রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ
    বর্তমান | ২০ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ ও সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: বর্ষার আগে জ্যৈষ্ঠের বৃষ্টিতে কার্যত জলমগ্ন রায়গঞ্জ শহরের বেশ কিছু এলাকা। কালিয়াগঞ্জ শহরের একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। হেমতাবাদ ব্লকে ঝোড়ো হাওয়ায় কিছু বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। নিকাশিনালা উপচে জল জমে যায় রায়গঞ্জ শহরের মূল রাস্তাগুলোতেও। সেই জমা জল ঠেঙিয়েই সোমবার চলাচল করতে হল শহরবাসীকে। সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রায়গঞ্জ শহর ও সংলগ্ন এলাকায়। জল দাঁড়িয়েছে শহরের স্টেশনের পাশে মনস্কামনা মন্দির সংলগ্ন বিস্তীর্ণ রাস্তায়। জেলা কংগ্রেস পার্টি অফিসের সামনের রাস্তা, পুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা, বিদ্রোহী মোড়, রাসবিহারী মার্কেট সংলগ্ন এলাকা, বীরনগর, মোহনবাটির নেতাজিপল্লি, মিলনপাড়া, স্কুল রোড সহ বিভিন্ন পাড়ায় জল দাঁড়িয়ে যায়। সেইসঙ্গে মোহনবাটি বাজার, স্টেশন বাজার, দেবীনগর বাজার সহ একাধিক জায়গায় জল কাদার সমস্যাও তৈরি হয়। এদিকে এই জমা জল ও বেহাল নিকাশি নিয়ে রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী রাজনীতিকরাও। কংগ্রেস নেতা তুষারকান্তি গুহ বলেন, নিকাশি বেহাল। জল যাওয়ার রাস্তা নেই। পুকুর, ডোবার মতো জলাশয় বুজিয়ে নির্মাণ কাজ হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেয়নি। মাস্টার প্ল্যান হবে বলেছিল। তারও কোনও সাড়াশব্দ নেই। স্বাভাবিকভাবেই জলবদ্ধ হয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শহরবাসীকে। রায়গঞ্জের পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, যেভাবে ভারি বৃষ্টি হয়েছে, তাতে কিছু এলাকায় জল জমেছে। কিন্তু বৃষ্টি কমলেই জল নেমে যাবে। তার জন্য পুরসভা কাজ করে যাচ্ছে বছরভর। কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন নিকাশিনালা তৈরি হচ্ছে। নিকাশিনালার জঞ্জাল সাফাই হচ্ছে। সন্দীপের বক্তব্য, শহরে জলমগ্নতার সমস্যা তৃণমূল আমলের নয়। দীর্ঘ বছরের। সে কথাও বিরোধীদের মাথায় রাখতে হবে। পরপর দুদিনের বৃষ্টিতে কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে। হেমতাবাদের চৈনগরে ঝোড়ো হাওয়ায় কিছু বাড়ির চাল উড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল বিলি করেছে প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এদিন পরিদর্শন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহা।
  • Link to this news (বর্তমান)