মানুষের হয়রানি কমাতে রায়গঞ্জ থানায় এবার চালু হেল্প ডেস্ক
বর্তমান | ২০ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: আলোচনা-সমালোচনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিদ্ধ হয় পুলিস। তারপরও একের পর এক সামাজিক পদক্ষেপ, পুলিসকে সমাজবন্ধু হিসেবে প্রতিপন্ন করে। এবার তেমনই এক পদক্ষেপ নিল রায়গঞ্জ পুলিস। রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হওয়া সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে গেল ‘হেল্প ডেস্ক’। রায়গঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে সোমবার সকাল থেকেই নতুন এই পরিষেবার সূচনা হয়। নতুন চালু হওয়া ওই হেল্প ডেস্ক থেকে এবার মানুষ বহু রকমের পুলিসি সহযোগিতা পাবেন। পুলিসের বক্তব্য, এখনও বহু মানুষ থানায় এসে রীতিমতো হতচকিত হয়ে যান। থানায় ঢুকে কার সঙ্গে কথা বলতে হবে? থানার কোন ঘরে গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে? অভিযোগ জানানোর পর তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে কোন পুলিস আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা দরকার? পাসপোর্ট তৈরিতে পুলিস ভেরিফিকেশন কোন আধিকারিক করেন? এরকম বহু প্রশ্ন, সংশয় মাথায় নিয়ে প্রান্তিক গ্রামাঞ্চল ও শহর থেকে বহু মানুষ থানায় আসেন। থানায় কর্তব্যরত আধিকারিকদের টেবিলে গিয়ে ভিড় জমান। তাতে থানার কাজেও সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটে। তারপরই হেল্প ডেস্ক তৈরির চিন্তাভাবনাকে বাস্তবায়িত করা হয়। এই হেল্প ডেস্ক থেকে এবার মানুষকে যাবতীয় সহযোগিতা ও প্রশ্নের উত্তর দেবে পুলিস। এমনকী পরিষেবা পেয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট কিনা, সেই প্রতিক্রিয়াও শুনবে পুলিস।
থানা চত্বরে হেল্প ডেস্ক শুরুর পাশাপাশি বসার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সানা আখতার বলেন, থানায় আসা মানুষজনের হয়রানি কমাতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু রায়গঞ্জ থানার ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে, বিশাল এলাকা হওয়ার কারণে প্রচুর মানুষ নিত্যদিন নানা সমস্যা নিয়ে হাজির হন থানায়। তারজন্যই রায়গঞ্জ পুলিস জেলায় প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে রায়গঞ্জ থানায় একটি হেল্প ডেস্ক চালু করা হল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযোগ জানাতে আসা মানুষজন এখানে পুলিসের পরামর্শ পাবেন। ওই হেল্প ডেস্ক নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুযায়ী, ভারপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট পুলিস আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজ করবে। প্রয়োজনে আধিকারিকদের ফোন নম্বরও দিয়ে দেওয়া হবে। এতে থানায় এসে কারও অযথা সময় নষ্ট হবে না। দ্রুত কাজ মিটবে বলে আমাদের আশা। আগামীতে এই পুলিস জেলার সব থানায় হেল্প ডেস্ক খোলা হবে। নিজস্ব চিত্র