বর্ধমানে মিষ্টির দোকানে চুরি করতে ঢুকে টপাটপ রসগোল্লা খেল যুবক
বর্তমান | ২০ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: গামলায় ভাসছে বড় রসগোল্লা। ট্রেতে সাজানো রয়েছে ভিন্ন স্বাদের সন্দেশ। এমনটা চোখের সামনে দেখলে কার না জিভেই জল আসে। দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে টাকা চুরি করতে এসে চোরেরও চোখ সেদিকেই গেল। চোর বলে তার জিভে জল আসবে না এমনটা তো নয়! গামলা থেকে টপাটপ রসগোল্লা তুলে মুখে ভরতে থাকল। কতগুলি রসগোল্লা খেল তা বোঝা গেল না। তবে একসময় মিষ্টির রস বের করে চোর মুখে পুরতে থাকল। গলায় আটকে যাচ্ছিল। হাতের কাছেই ছিল জলের বোতল। কিছুটা জল গলায় ঢেলে আবার শুরু মিষ্টি খাওয়ার পালা। বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরে একটি মিষ্টির দোকানে চোরের এমনই কীর্তি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। ভূরিভোজ সারার পর ‘চোর বাবাজি’ ক্যাশবাক্স থেকে টাকা নিতেও ছাড়েনি। কয়েক হাজার টাকা নিয়ে সে চম্পট দেয়। খালি গায়ে দোকানে ঢোকা ওই যুবককে পুলিস চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে।
বর্ধমানের যে কোনও মিষ্টির স্বাদ লা-জবাব। এর আগেও চোর মিষ্টি খেতে অন্য দোকানে ঢুকেছিল। বছরখানেক আগে শহরের একটি নামী মিষ্টির দোকানে এক চোর ঢুকেছিল। সেও নিজের পছন্দের মিষ্টি খেয়ে চম্পট দেয়। পরে অবশ্য পুলিস তাকে পাকড়াও করে। সে একসময় ওই দোকানেই কাজ করত। পুলিস জানিয়েছে, চোর দু’টি উদ্দেশ্য নিয়ে দোকানে ঢোকে। মিষ্টি খাওয়াই প্রধান উদ্দেশ্য থাকে তাদের। যাওয়ার আগে তারা টাকা নিয়ে যেতেও ভোলে না। সেই কারণে অধিকাংশ মিষ্টির দোকানেই সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। গামলা থেকে কেউ মিষ্টি তুললেই তা ক্যামেরাবন্দি হয়ে যাচ্ছে। চোরদের জালে তুলতে পুলিসকে বেগ পেতে হচ্ছে না। শীতের রাতে চোরেরা মিষ্টির দোকানে ঢোকার টার্গেট রাখে। অধিকাংশ সময় দেখা যায় তারা কোনও না কোনও সময় দোকানে কাজ করেছে। কোন পথ দিয়ে দোকানে ঢুকতে হয় বা কোথায় কী মিষ্টি থাকে সেসব তারা জানে। সেকারণে দোকানে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যে ‘অপারেশন’ সেরে তারা নিরাপদে চলে আসে। যদিও ভূরিভোজ সেরে তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারে না। সিসি ক্যামেরার ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তারা চিহ্নিত হয়ে যায়। বাজেপ্রতাপপুরের চোরও বেশিদিন বাইরে থাকতে পারবে না বলে পুলিসের দাবি। ওই চোর মিষ্টি খাওয়ার পর টর্চ জ্বালিয়ে দেকানের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজিও শুরু করেছিল।