• খুকুরদহের কজওয়ের কাজ বর্ষার আগে শেষের উদ্যোগ
    বর্তমান | ২০ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ঘাটাল: ঘাটাল-মেচোগ্রাম রাস্তার উপর খুকুড়দহ ব্রিজের পাশের কজওয়ের কাজ বর্ষার আগেই শেষ হয়ে যাবে। সোমবার ওই কজওয়ে পরিদর্শন করতে এসে এমনটাই আশ্বাস দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন,   এই কাজ নিয়ে কিছু মানুষ নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাস্তব চিত্র পুরো ভিন্ন। কজওয়ে তৈরির কাজ নিয়ম মেনে ও দ্রুত গতিতে চলছে। দু’মাসের মধ্যেই কজওয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এদিন নির্মলবাবুর সঙ্গে ছিলেন পূর্তদপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস প্রামাণিক, জেলা পরিষদের সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ আশিস হুদাইত, জেলা পরিষদের সদস্য  সৌমিত্র সিংহরায়, দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিখা দলুই, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ পোড়ে প্রমুখ।

    ঘাটাল-মেচোগ্রাম রাস্তার উপর খুকুড়দহ ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরেই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। ওই ব্রিজ দিয়ে ভারী গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন, ওই ব্রিজের উপর দিয়ে ১৬ মেট্রিকটনের বেশি কোনও গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে না। ব্রিজ পেরনোর সময় গাড়িগুলির গতিও প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারের বেশি থাকা চলবে না বলে জেলাশাসক ওই নির্দেশেই জানিয়েছিলেন। বর্তমানে ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। ১৬ টনের বেশি ভারী যানগুলি যাতে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য ব্রিজের পাশেই তিন কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি কজওয়ে তৈরি কাজ শুরু হয়েছে। নির্মলবাবু বলেন, অনেকে প্রচার করছেন ওল্ড কাঁসাইয়ের উপর ওই কজওয়ে তৈরির জন্য একদিকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, ৫০ মিটার দীর্ঘ ও পাঁচ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট ওই কজওয়েটি তৈরি হচ্ছে। এক দিক থেকে অন্যদিকে জল যাতায়াতের জন্য দু’টি স্তরে মোট ৩১টি দু’মিটারের বেশি ব্যাস যুক্ত হিউম পাইপ থাকবে। নীচে থাকবে ১৪টি ও উপরে থাকবে ১৭টি হিউমপাইপ। তাই কোনওভাবেই জল জমার ভয় নেই। কজওয়েটি তৈরি হলে তা দিয়ে ভারী গাড়িগুলি যাতায়াত করবে। এই মুহূর্তে পুরনো ব্রিজটিও ভেঙে দেওয়া হচ্ছে না। নির্মলবাবু বলেন, মোটামুটি বড় বন্যার জলস্তরকে মাথায় রেখে কজওয়ের হাইট তৈরি করা হয়েছে। তবুও যদি ওল্ড দুর্বাচটিতে জলস্ফীতি হলে কজওয়ের উপর জল উঠে যায় তখন সাধারণ গাড়িগুলির যাতায়াতের সমস্যা হবে না। কারণ, ব্রিজদিয়ে ভারী গাড়ি ছাড়া সমস্ত ধরনের গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। সৌমিত্রবাবু বলেন, কজওয়ে তৈরির কাজের বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। খুব শীঘ্রই ব্রিজের কাজ শেষ হয়ে যাবে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)