• আলোকসজ্জার গেটেও বিজ্ঞাপন বছরে ৩ কোটি পুর-কোষাগারে
    বর্তমান | ২০ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুর্গাপুজো থেকে বড়দিন, তারপর ইংরেজি নববর্ষ পর্যন্ত সেজে ওঠে পার্ক স্ট্রিট। সেখানে রাস্তা জুড়ে লাগানো গেটগুলিকে নানা আলোয় সাজানো হয়। কিন্তু বছরের ওইটুকু সময় ছাড়া অন্য সময়ে পড়েই থাকে এই লোহার কাঠামোগুলি। এবার সেই লোহার গেটগুলিতে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানোর কাজে ব্যবহার করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এই প্রথম পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ টেন্ডার পদ্ধতি ছেড়ে বিজ্ঞাপনের এজেন্সি বাছতে নিলাম পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। এর জেরে পার্ক স্ট্রিটের ওই গেটগুলিতে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং বাবদ বছরে তিন কোটি টাকা আসবে পুর কোষাগারে।

    জানা গিয়েছে, পার্ক স্ট্রিট থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত গোটা রাস্তায় ১৬টি এমন লোহার গেট রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি সম্পূর্ণ গেট, বাকি তিনটি অর্ধেক। অর্থাৎ, রাস্তাজুড়ে তার কাঠামো নেই, রাস্তার দু’ধারে রয়েছে। সারা বছর এই লোহার গেটগুলি খালিই পড়ে থাকে। তাই সেগুলিকে এবার বিজ্ঞাপন টাঙানোর কাজে ব্যবহার করা হবে। এর ফলে নতুন আয়ের পথ খুলল। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্গাপুজো থেকে ইংরেজি নববর্ষ পর্যন্ত (জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ) এই গেটগুলিতে কোনও বিজ্ঞাপন লাগানো যাবে না। বছরের বাকি সময়ে সেগুলিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ পাবেন বিজ্ঞাপনদাতারা। সেই ভাবেই চুক্তি হয়েছে।

    পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ জানাচ্ছে, এক একটি গেট বা লোহার কাঠামো প্রায় ৩০ ফুট লম্বা এবং তিন ফুট চওড়া। সেই অনুযায়ী বিজ্ঞাপন লাগানো যাবে। সম্প্রতি এই ১৬টি গেটে বিজ্ঞাপন লাগানোর ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা বাছতে টেন্ডার পদ্ধতি ছেড়ে নিলাম (অকশন) পদ্ধতি গ্রহণ করেছিল পুর কর্তৃপক্ষ। তাতে যে সংস্থা জিতেছে, তারা বছরে তিন কোটি টাকা পুরসভাকে দেবে। অর্থাৎ শুধু পার্ক স্ট্রিটের এই গেটগুলি থেকেই বছরে মোটা টাকা রাজস্ব আসবে কোষাগারে।

    পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, বিজ্ঞাপনের রেট কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। টেন্ডার করলে যে টাকা মিলত, তার তুলনায় নিলামে অন্তত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তি আয় হচ্ছে। রাজ্য সরকারও আমাদের নিলাম পদ্ধতিতেই যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। আগামী দিনে বিজ্ঞাপন বিভাগ বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাকে নিলামের মাধ্যমেই দায়িত্ব বন্টন করবে।
  • Link to this news (বর্তমান)