• ধৃত ২ জেএমবি জঙ্গির সঙ্গে যোগ আইএসআইয়ের
    বর্তমান | ২০ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বীরভূমের নলহাটি থেকে ধৃত জেএমবি জঙ্গি আজমল হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশে থাকা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের আধিকারিকদের যোগসূত্র মিলছে । তাদের নির্দেশমতো সদস্য সংগ্রহের কাজ করছিল জঙ্গি আজমল। আজমল ও তার সহযোগী সাহেব আলি খানের কাজকর্মের বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে এমনই তথ্য পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। কাদের মাধ্যমে পাক গুপ্তচর সংস্থার  সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।

    হাসিনা উত্তরপর্বে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই নতুন করে বাংলাদেশে তাদের ‘অ্যাসেট ব্রাঞ্চ’ খুলেছে। সেখানে পাকিস্তান থেকে শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা আসছেন। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতাদের বৈঠক  হচ্ছে। এই তথ্য অনেকদিন ধরেই পাচ্ছেন এপারের গোয়েন্দারা। এই জঙ্গি সংগঠনগুলির মদতে এ রাজ্যে একাধিক স্লিপার সেল চলছে। এখানে চলা মডিউলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আইএসআইয়ের কর্তারা। তাঁদের এজেন্টরা এই রাজ্যে এলে এখানকার স্লিপার সেল তাদের দেখভালের দায়িত্ব নিচ্ছে। এমনকী অনেকে আবার ভুয়ো ভারতীয় নথি জোগাড় করে এপারে থেকে গোপনে তথ্য জোগাড় করছে বলে খবর। গত নভেম্বর মাসে মুর্শিদাবাদে ধৃত এবিটি জঙ্গিদের সঙ্গেও আইএসআইয়ের যোগ মিলেছিল। পাক গুপ্তচর সংস্থার মূল লক্ষ্য হল, ভারতে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা। 

    তদন্তে জানা যাচ্ছে, বীরভূমের বাসিন্দা আজমলের সঙ্গে বাংলাদেশের জেএমবির বড় মাথাদের পরিচয় ছিল। তাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো। যার প্রমাণ মোবাইল থেকে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে যেভাবে তাদের কাছে ওপার থেকে টাকা আসছিল, তা দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়, এর নেপথ্যে রয়েছে আইএসআই। ভারতের বিভিন্ন গোপন নথি সংগ্রহের জন্য তারা এখন  বিপুল পরিমাণ টাকা ঢালছে। শুধু চর নয়, ঝিমিয়ে পড়া বিভিন্ন স্লিপার সেলকে চাঙ্গাও করছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও মোবাইলের চ্যাট থেকে গোয়েন্দারা জানতে পারছেন, তাদের ক্লোজড গ্রুপে ছিল বেশ কয়েকজন আইএসআইয়ের কর্তা। যারা পশ্চিমবঙ্গে জেএমবি সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য লোক নিয়োগের কথা বলছিল আজমলকে। সেইমতো  বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট মারফৎ নিয়োগ চালাচ্ছিল দুই জঙ্গি। নতুন জেহাদিদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থার অফিসাররা। আজমল ও সাহেব সীমান্ত পার করিয়ে জেএমবির একাধিক  সদস্যকে এদেশে নিয়ে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। অবৈধভাবে ভারতে ঢোকা আধার, প্যান কার্ড সহ বিভিন্ন নথি এই দুই জঙ্গির মাধ্যমে পেয়ে গিয়েছে অনুপ্রবেশকারীরা। ধৃতদের জেরা করে এই রাজ্যে সংগঠনের দায়িত্বে থাকা পাঁচজনের নাম পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)