মারুতি গাড়িকে পিষে দিল বাস, নদিয়ায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৫
আজ তক | ২০ মে ২০২৫
Nadia Road Accident: নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।মঙ্গলবার সকালে মহিষবাথান মাঠের কাছে একটি যাত্রীবাহী বাস মারুতি গাড়িকে ধাক্কা মেরে রীতিমতো দুমড়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান গাড়ির ভিতরে থাকা ৫ যাত্রী।
সূত্রের খবর, সকাল সাতটা নাগাদ রাজ্য সড়ক দিয়ে একটি মারুতি গাড়ি কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। গাড়িতে ছয়জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সম্ভবত তাঁরা চিকিৎসার জন্য় কলকাতা আসছিলেন। সেই সময়েই হঠাৎ পিছন থেকে আসা একটি বেসরকারি বাস মারুতি গাড়িটিতে সজোরে ধাক্কা মারে। এরপর মারুতি গাড়িটি ঠেলতে ঠেলতে রাস্তার ধারের একটি বড় গাছে গিয়ে ধাক্কা লাগে।
সংঘর্ষ এতটাই তীব্র ছিল যে, বাস ও গাছের মাঝে মারুতি গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়ির ভিতরে থাকা ছয়জন যাত্রীর কেউই বের হতে পারেননি।
দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষজন। তাঁরাই প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলেই গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীরা প্রাণ হারিয়েছেন বলে অনুমান।
খবর পেয়ে করিমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সঙ্গে আসে দমকলের দল। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়। বাসটিকে সরিয়ে মারুতির ভিতর থেকে দেহগুলি বার করার চেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসটির গতি অত্যন্ত বেশি ছিল। এমনকি চালকের নিয়ন্ত্রণ ছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছে। দুর্ঘটনার সময় বাসের ভিতরে থাকা কয়েকজন যাত্রীও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? বাস চালক কি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন? নাকি গাড়ি চালাতে চালাতে তাঁর ঘুম চলে এসেছিল? পুলিশ সমস্ত দিকগুলি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে মৃতদের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নদিয়ার এই ভয়ানক দুর্ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত গতির বাস চলাচলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, এই রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কড়া নজরদারি করতে হবে প্রশাসনকে।