পহেলগামে জঙ্গি হামলার পরে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের আসল চেহারা তুলে ধরতে উদ্যোগী ভারত। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মূলত যাঁরা জনপ্রতিনিধি তাঁদের পাঠাচ্ছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, সেই দলে থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তৃণমূলের তরফে অন্য নাম নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও দলই তা খারিজ করে দেয়। মঙ্গলবার এ ক্ষেত্রে অভিষেকের নাম সামনে আসে।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নানা মহলে পাকিস্তান যখন কাঁদুনি গেয়ে বেড়াচ্ছে, সে সময়ে মোক্ষম কূটনৈতিক চাল ভারতের। বিভিন্ন দেশে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেই দল নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের তরফে সেই দলে বিজেপির পাশাপাশি বিরোধী দলগুলিরও প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এখানেই তৃণমূল-কংগ্রেসের একই অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়ে খুশি মতো প্রতিনিধি বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে শশী থারুর হোক বা তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান, কী ভাবে দলকে অন্ধকারে রেখে এ ভাবে প্রতিনিধি বাছাই হলো, তা নিয়ে সোমবার জোরালো সওয়াল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমনকী দিল্লিতে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েও এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, দেশের হয়ে প্রতিনিধি যাবে, এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কী ভাবে কেন্দ্র, সেই দলকে না জানিয়ে সদস্য বাছাই করল?
সূত্রের খবর, এর পরই সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি পাঠানোর ক্ষেত্রে মমতার পরামর্শ চান। সূত্রের দাবি, দলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন মমতা। এর পরেই সিদ্ধান্ত হয় অভিষেককে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে ৫ সদস্যর প্রতিনিধি দল যাচ্ছে শ্রীনগর, পুঞ্চ, রাজৌরিতে। থাকছেন, মমতাবালা ঠাকুর, ডেরেক ও ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমুল হক, মানস ভুঁইয়া ও সাগরিকা ঘোষ।