• বাবা-ছেলে সামশেরগঞ্জের অশান্তিতে অস্ত্র জুগিয়েছিল,  সোমবার গভীররাতে অভিযান পুলিশের...
    আজকাল | ২০ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে  সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনার তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল জঙ্গিপুর পুলিশ। ঘটনার সময় সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদ ,প্রতাপগঞ্জ, ধুলিয়ান, বেতবোনা-সহ একাধিক এলাকায় অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সোমবার গভীর রাতে  প্রতাপগঞ্জ -উত্তরপাড়া এলাকা থেকে দু'জনকে গ্রেপ্তার করল সামশেরগঞ্জ থানার বিশেষ দল। ওইদিন রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইসি সুব্রত ঘোষের নেতৃত্বে ওই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিশ। যদিও পুলিশের এই অভিযানের খবর পেয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত এক যুবক। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আনারুল ইসলাম এবং তার ছেলে টিংকু শেখ অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত। আনারুলের অপর ছেলে রাজা শেখ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে একটি ৭ এমএম পিস্তল, একটি উন্নতমানের দেশি পিস্তল, বেশ কয়েকটি ভোজালি, ছুরি এবং প্রায় ১০ টি অত্যাধুনিক ধারাল 'ফাইটার' (বিশেষ ধরনের চক্রাকৃতির কুঠার) উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে মুর্শিদাবাদের কোথাও একসঙ্গে এত 'ফাইটার' উদ্ধার হয়নি।  ওই অস্ত্রের এক আঘাতেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে।  প্রসঙ্গত সামশেরগঞ্জে অশান্তি চলাকালীন বেতবোনা ,জাফরাবাদ ,ধুলিয়ান-সহ একাধিক এলাকায় গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে । একই সময় জাফরাবাদ গ্রামে খুন হয়েছিলেন বাবা এবং ছেলে। খুনের ঘটনায় জড়িতে থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ১২ জন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত করতে নেমে তাঁরা  জানতে পারেন প্রতাপগঞ্জ-উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনারুলের বাড়ি থেকে ঘটনার আগে এবং পরে বহু জায়গায় অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল।

    পুলিশের ওই আধিকারিক বলেন ,আনারুলের ছেলে রাজা শেখ এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। ফরাক্কা থানার পুলিশ রাজাকে একটি অপরাধের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারও করেছিল। এলাকায় ফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আনারুল এবং তার অপর ছেলে টিংকু শেখের বিরুদ্ধেও এলাকায় একাধিক অপরাধের  ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের ওই আধিকারিক জানান, একটি বিশেষ আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে গ্রামে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য আনারুল এবং তার দুই ছেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারালো অস্ত্র এবং বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিজেদের বাড়িতে মজুত করেছিল। এরপর প্রয়োজনমতো বিভিন্ন লোককে তারা  সেই অস্ত্র  সরবরাহ করেছিল। সামশেরগঞ্জ থানার ওই আধিকারিক জানান,অভিযুক্তরা কাদের কাদের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েছিল পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।  ধৃত দু'জনের  সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে মঙ্গলবার তাদের জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হচ্ছে। পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল অপর অভিযুক্ত রাজার সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
  • Link to this news (আজকাল)