• আরজি কর কাণ্ড: আদালতে জমা পড়া ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে চাঞ্চল্য
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ মে ২০২৫
  • আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল গোটা বাংলা। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এবার নয়া মোড়। সিবিআই-এর জমা দেওয়া সিএফএসএল-এর রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে পালটা ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষের ডিএন‌এ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম মজুমদার এই রিপোর্ট জমা করেছেন। সেই রিপোর্টে রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সঞ্জয় রায় ছাড়াও ক্রাইম সিনে উপস্থিত থাকতে পারেন আর‌ও এক মহিলা। নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণীর দেহ সঞ্জয় রায় ছাড়াও সেই মহিলা স্পর্শ করে থাকতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছে সেই রিপোর্টে। এছাড়া ক্রাইম সিনে সঞ্জয় ছাড়া অন্য পুরুষের উপস্থিতিও অসম্ভব নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

    এই রিপোর্ট জমা পড়তেই জলঘোলা হয়েছে। কারণ, এর আগে গত মার্চ মাসে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে প্রশ্ন করেছিল, আরজি কর মামলায় কি নির্যাতিতা কি গণধর্ষণের শিকার? উত্তর নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিলই। তারপরও সিবিআই তদন্তে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হওয়ায় আবারও তদন্তের দাবিতে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার। তবে এই মামলা হাইকোর্ট শুনতে পারবে কি না, তা নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা যায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, হাইকোর্টের এই মামলা শুনতে বাধা নেই।

    উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩, ৬৪, ১০৩ (১) নং ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তারপর ২০ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক অনির্বাণ দাস। এর পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে। কিন্তু সিবিআই-এর জমা দেওয়া সিএফএসএল-এর রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর এবার পরিস্থিতি কী হয়, সেটাই এখন দেখার।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)