অয়ন ঘোষাল: বাস ধর্মঘট নিয়ে বাস মালিকদের ৬ টি সংগঠনের মধ্যে মতবিরোধ। দুটি সংগঠন ধর্মঘটে অনড়। ১ টি এখনও পর্যন্ত অবস্থান পরিষ্কার করেনি। বাকি সংগঠন এখনই ধর্মঘটের মতো চরম পদক্ষেপের পক্ষপাতী নয়। প্রস্তাবিত বাস ধর্মঘটের জট কাটাতে গতকাল কসবা পরিবহন ভবনে কলকাতার ভারপ্রাপ্ত পরিবহন অধিকর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসে বাস মালিকদের ৬ টি সংগঠন। এরমধ্যে কলকাতা বাস মিনিবাস অপরেটর ইউনিয়ন এবং জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি তপন ব্যানার্জি বলছেন ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে তাঁরা অনড়।
সিটি সাবার্বান বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি টিটো সাহা বলেছেন, সিটি সাবার্বান এবং বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট সহ বাকি ৩ সংগঠন এই মুহূর্তে ধর্মঘটে যাওয়ার পক্ষে নয়।
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট এখনও পর্যন্ত ধর্মঘটে থাকা না থাকা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেনি। এই অবস্থায় পরিবহন সচিবের সঙ্গে মঙ্গলবারের ভিডিয়ো কনফারেন্স এর পরেও জট কটার আশা কম। কোভিড লকডাউনের পর শহর এবং শহরতলী মিলিয়ে দৈনিক যাতায়াতকারী বেসরকারি বাস ৪৫০০। ধর্মঘটে অনড় দুটি সংগঠনের হাতে বাস ১২০০। ধর্মঘটের দিন পথে নামতে পারে ৩৩০০ মতো বাস। তিনটি কাজের দিন বাস ধর্মঘট। বৃহস্পতি, শুক্র, শনি অর্থাত্ আগামী ২২, ২৩ এবং ২৪ মে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির একাংশ। পথে বাস কমলে মানুষের ভোগান্তির আশঙ্কা।
বাস ধর্মঘট নিয়ে বাস মালিক সংগঠনের মধ্যে মতবিরোধ। বাস ধর্মঘটের জট কাটাতে আজ পরিবহন ভবনে বৈঠক। ধর্মঘটের পক্ষে কলকাতা বাস মিনিবাস অপারেটর্স ইউনিয়ন। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড়। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট সহ বাকি ৪ সংগঠন ধর্মঘটের বিরুদ্ধে। শহরের বেসরকারি বাস পরিষেবায় আংশিক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাস সংগঠনের মালিকরা তাঁদের একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া নিয়ে বাস ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার অর্থাত্ ২০ মে পরিবহন দফতরের তরফে সেই বিষয়ে বৈঠক ডেকেছেন পরিবহন দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন। এমতাবস্থায় পুলিস আধিকারিকরা মঙ্গলবারই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর বেসরকারি বাস সংগঠনের প্রতিনিধিদের এই ভিডিয়ো কনফারেন্সে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এই বাস ধর্মঘটে উপস্থিত থাকছেন পাঁচটি বাস সংগঠন। সেই সঙ্গেই রয়েছে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন। বাস মালিকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ২০ মে-র মধ্যে যদি তাঁদের দাবিগুলো না মানা হয় তাহলে, ২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত টানা ৭২ ঘণ্টা বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আপাতত মঙগলবারের এই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছে সাধারণ মানুষ। যদি এই ধর্মঘট হয় তাহলে ভোগান্তির শিকার হবেন সাধারণ মানুষ।