• সুপ্রিম নির্দেশের পর তৎপর আসানসোল পুরসভা, এলাকা দখলমুক্ত করতে পথে মেয়র
    প্রতিদিন | ২০ মে ২০২৫
  • শেখর চন্দ্র, আসানসোল: শহরের হৃদয়রেখা বলা হয় হটন রোডকে। ওই রাস্তাতেই শহরের মূল বাজার, সবজি মণ্ডি, মাছের আড়ত। দুটি কলেজ ও জেলা হাসপাতাল যাওয়ার একমাত্র রাস্তা সেটিই। অথচ ওই হটন রোডের ফুটপাত দখল। সরকারি হাইড্রেনের উপর অবৈধ দোকানদারি! সেজন্য রাস্তাও চওড়া করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। তারপরও দোকানিরা সেই জায়গা দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এবার ওই রাস্তা দখলমুক্ত করতে তৎপর হল আসানসোন পুরসভা, প্রশাসন। এদিন রাস্তায় নামলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। দোকানিদের ওই জায়গা ছেড়ে দ্রুত সরে যেতে হাতজোড় করে অনুরোধ করলেন তিনি। দোকানিদের বিকল্প জায়গা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

    অভিযোগ, হাইড্রেন তৈরি ও সংস্কারের টেন্ডার হলেও অবৈধ দোকানদারদের জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। ফলে বিরাম্বনায় আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, যেখানে সেখানে অবৈধ টোটো পার্কিং হওয়ায় রাস্তা দখল হয়েই থাকছে। নিত্য যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ। শহরের অন্য প্রান্তে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ হলেও এই অংশে অজ্ঞাত কারণে ফুটপাত দখলমুক্ত করা যায়নি! এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসতেই নড়েচড়ে বসল আসানসোল পুরনিগম। ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য মঙ্গলবার আসানসোলের মেয়র বাজার ঘুরে আবেদন করলেন।

    হটন রোড এলাকায় তিন কিলোমিটারের একটি ড্রেন তৈরি করা হচ্ছে। ওই ড্রেন হটন রোড এলাকা থেকে জিটি রোডে আসা জল নিকাশি করবে। ফলে বাজার এলাকায় জল জমবে না। তবে এজন্য অবৈধ দখলদারদের থেকে এলাকামুক্ত করা প্রয়োজন। অভিযোগ, কোনওভাবেই ওই এলাকা দখলমুক্ত হচ্ছিল না। আজ মঙ্গলবার আসানসোল পুরনিগমের একটি দল মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এলাকায় যায়। রাস্তা দখল করে রাখা ব্যবসায়ীদের সরে যেতে বলা হয়। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই এলাকা ফাঁকা করে দিতে বলা হয়েছে। এদিন মেয়র বলেন, “যেসব দোকানদারকে সরিয়ে দেওয়া হবে, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করা হবে। তবে সবার আগে, যানজটের কারণে সৃষ্ট সমস্যা থেকে জনগণকে মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন। বর্ষা আসার আগে, পুর এলাকায় ছয়টি রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করতেই হবে, যার মূল বাধা দখলদার।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)