• তৃণমূলনেত্রীর ‘অবমাননায়’ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন সব্যসাচী, তুঙ্গে চর্চা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ মে ২০২৫
  • তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের নেতাদের মধ্যে একজন সব্যসাচী দত্ত। তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন বিরোধী দল থাকার সময় থেকে। মাঝে বিজেপিতে গিয়ে মোহভঙ্গ হয়। তাই আবার ফিরে আসেন ঘরের ছেলে ঘরে। সব্যসাচী দত্ত বরাবরই সুজিত বসুর বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেন বলে সল্টলেক থেকে শুরু করে দলের অন্দরে সকলেই জানেন। তবে সব্যসাচী দত্ত দাবাং নেতা বলেই পরিচিত। মুর্শিদাবাদের হিংসায় নিহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে সুতিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মঞ্চে হাজির ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। কারণ তিনি খুব ভাল বুঝতে পারেন গোলমালে কারা জড়িত।

    এই বুঝতে পারার দক্ষতার জেরেই সব্যসাচী দত্ত দলনেত্রীর খুব কাছের নেতা। যার জন্য তাঁকে নানা জায়গায় পাঠানো হয় আসল তথ্য বের করে আনার জন্য। আবার সামনে থেকে লড়াই করার ক্ষমতাও আছে সব্যসাচীর। তাই তো উত্তপ্ত ভাঙড়ে পা রেখে শান্ত করে দিয়েছিলেন। টাইট দিয়ে ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। যেটা একা পেরে উঠছিলেন না শওকত মোল্লা। এরকম আরও অনেক ঘটনা আছে যা দক্ষতা দেখিয়ে করেছেন সব্যসাচী দত্ত। সল্টলেকে বিকাশ ভবনে সেই কাজেই গিয়েছিলেন সব্যসাচী।


    এই নেপথ্যে কারা আছে সেটা খুঁজে বের করতেই সেদিন বিকাশ ভবনে পা রেখেছিলেন সব্যসাচী বলে সূত্রের খবর। তারপরই যখন চাকরিহারা শিক্ষকরা তাঁকে ঘিরে ধরে এবং স্লোগান দেন তখন তিনি পাল্টা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। ওখানে দাঁড়িয়েই সব্যসাচী হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ‘এটা আমার ওয়ার্ড। ফাঁকা করতে ৩০ সেকেন্ড লাগবে না! আদৌ ওরা শিক্ষক কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’ আসলে ওখানে পা রেখে তিনি বুঝেছিলেন শুধু শিক্ষকদের আন্দোলন এটা নয়। রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও আছে। আবার দিঘার মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করেছেন বলে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সব্যসাচী দত্ত।

    এখন যেখানে সমস্যা হবে সেখানে সব্যসাচী দত্তকে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সব্যসাচী দত্ত রাজারহাট–নিউটাউনের বিধায়ক হতে চান। এটা তাঁর পুরনো আসন। ভোটে জিতে গেলে মন্ত্রীও হতে পারেন। একদিকে এলাকার কাজ করেন সব্যসাচী। তাই তিনি জনপ্রিয়। আর অপরদিকে দাবাং নেতা। ফলে ভয় পান না কোনও কাজ করতে। এখন সব্যসাচীকে আবার পুরনো মেজাজে দেখা যাচ্ছে। সেটি কি টিকিট পাওয়ার জন্য?‌ যার উত্তর মেলেনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)