বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের সুবিধাভোগীর হাতে চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
এ দিন মমতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার নিজেদের খরচে গরিব মানুষের মাথার উপর ছাদ করে দেবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পাবেন ১২ লাখ সুবিধাভোগী।
প্রসঙ্গত, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে দুই কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সে বার ১২ লাখ সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়েছিল। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের জন্য ৭,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৬০ শতাংশ কেন্দ্র এবং বাকি ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য দিত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। এরপরই রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষকে পাকা বাড়ি করে দিতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের পুরো খরচই বহন করছে রাজ্য সরকার।
মে মাসের মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো এ দিন সুবিধাভোগীদের হাতে টাকা তুলে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বার বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আরও ১৬ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।’
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ৪ বছর ধরে টাকা দিচ্ছে না বলেও অভিয়োগ করেন মমতা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘বাংলার বাড়িতে টাকা দেয়নি, গ্রামীন রাস্তা প্রকল্পে টাকা দেয়নি, ১০০ দিনের কাজে টাকা দেয়নি। আমরা দিয়েছি। বাড়ি করে দিচ্ছি। যারা কাজ করেছিল, তাঁদের টাকা দিয়েছি।’