লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন। সুযোগ পেলেই তুলোধনা করে বিরোধীরা। ক্ষমতায় এলে ‘অন্নপূর্ণা যোজনা’য় ৩ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বললেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রবল অনীহা প্রকাশ করে তারা। একুশের বিধানসভা ও চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের জয়জয়কারের পর বিরোধীদের নিশানায় বার বার উঠে এসেছে এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর কথা। কিন্তু গ্রাম বাংলায় তৃণমূলের এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা যে কতটা, তা একাধিক রাজ্যে মহিলাদের জন্য আনা জনমোহিনী প্রকল্পের ছবিটা দেখলেই বোঝা যায়। সেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে মঙ্গলবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি থেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, সারা জীবন চলবে এই প্রকল্প।
২০২১ সালে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। প্রতিশ্রুতি মতো বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন ২ কোটির উপরে মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পান। শুরুতে মাসে ৫০০ টাকা করে পেলেও, এখন মাসে ১ হাজার টাকা করে পান তাঁরা। অন্য দিকে তফশিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত মহিলারা পান মাসে ১২০০ টাকা করে।
এ দিন উত্তরবঙ্গের সভা থেকে মমতা জানান, সারা ভারতে তো বটেই, সারা বিশ্বে বাংলাতেই প্রথম এ রকম প্রকল্প চালু হয়েছে। সারা জীবন এই প্রকল্প চলবে। এ প্রকল্প মহিলাদের সম্মান। অনেকে এই প্রকল্প নিয়ে নানা মন্তব্য করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের বন্যা বয়ে যায়। কটাক্ষ-খোঁচাও নেহাত কম আসে না।
কিন্তু সেই সোশ্যাল মিডিয়াতেই অনেকে দাবি করেন, এমন বহু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে, এমন বহু দুঃস্থ পরিবার রয়েছে, যেখানে মাস গেলে এই ১ হাজার টাকা বা ১২০০ টাকাই অনেক কিছু। শুধু তাই নয়, বহু মহিলার কাছে এই টাকা তাঁর একেবারে নিজের। স্বামী-সন্তানের সংসারে এটা তাঁর নিজের ‘আয়’। তাঁর নির্বাচিত সরকার, তাঁকে এই টাকা দেয়। এ বার সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মেয়াদ নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।