• ফেরিওয়ালা সেজে বাড়িতে ঢুকে অভিনব কায়দায় প্রতারণা, অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত
    এই সময় | ২১ মে ২০২৫
  • কখনও সোনার গয়না পরিষ্কার করার জন্য তো কখনও টিভি, ফ্রিজ ঠিক করার নাম করে একাধিক বাড়িতে ঢুকত দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকেই ‘পাউডার’ ছড়িয়ে সকলকে অজ্ঞান করে সোনার গয়না বা টাকা নিয়ে তারা চম্পট দিত। ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার। ফেরিওয়ালা সেজে দীর্ঘ এক বছর ধরে এ ভাবেই এলাকায় প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি চালিয়েও পুলিশ কিছুতেই তাদের হাতের নাগালে পাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত সোমবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মহম্মদ সাদ্দাম।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    সূত্রের খবর, সোনা পরিষ্কার করার নামে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক বাড়িতে এ ভাবেই ঢুকে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ধরতে গিয়ে একেবারে কাল ঘাম ছুটেছিল পুলিশের। এর পর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এমনকী বাংলা-বিহার সীমান্তে নাকা চেক পয়েন্টেও চলে তল্লাশি অভিযান। কিন্তু তারপরেও দুষ্কৃতীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে পুলিশের জালে আসে মূল চক্রী।

    পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের ভাগলপুরের গোপালপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মহম্মদ সাদ্দামকে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই চক্রের পিছনে কে বা কারা জড়িত? আরও কোনও বড় মাথা রয়েছে কি না? তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঝর্না মাইতি, পিয়ালি চক্রবর্তী, দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছিলেন।

    কী বলছেন অভিযোগকারী?

    দ্রোণাচার্য বলেন, ‘গয়না পরিষ্কার করার নাম করে দু’জন দুষ্কৃতী আমার শ্বশুরবাড়িতে এসেছিল। এর পর ওরা পাউডারের মতো কিছু একটা দিয়ে শাশুড়িকে অজ্ঞান করে সোনার চেন নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা ভাবিনি চুরি যাওয়া সোনা আবার ফিরে পাব। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় সেটা ফিরে পেয়েছি। এর জন্য তাদের অনেক ধন্যবাদ।’

    কী বলছেন হরিশচন্দ্রপুর থানার আইসি?

    হরিশচন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে অভিযুক্তকে আমরা চিহ্নিত করি। তারপর তাকে ধরা হয়। হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তার তদন্ত চলছে।’

  • Link to this news (এই সময়)