মিল্টন সেন,হুগলি: এবার থেকে মিলবে জরুরি এবং আধুনিক পরিষেবা। চুঁচুড়ার রেডক্রশ সঞ্জীবন হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা।
চুঁচুড়া তামলিপাড়ার গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় ছিল রেডক্রস হাসপাতাল। জানা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রেডক্রস হাসপাতাল খুব ভাল কাজ করেছিল। পরবর্তী সময়ে সেই হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছিল। পুনরায় পিপিপি মডেলে সঞ্জিবনের সঙ্গে গাঁটছরা বাধে রেডক্রশ। চালু হয়েছিল আউটডোর পরিষেবা। ইন্ডোর পরিষেবা বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন।
গত ২০১৪ সালের ৮ জুলাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পিপিপি মডেলে রেডক্রস সঞ্জীবন হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে ছিলেন। তারপর এলাকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ধীরে ধীরে সেজে ওঠে হাসপাতাল। বসানো হয় উন্নতমানের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্র। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালে থাকছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড -এর সুবিধা। ফলে আশাকরা যাচ্ছে আগামীদিনে চুঁচুড়ায় বেসরকারি স্বাস্থ্যপরিষেবা আরও উন্নত হয়ে উঠবে। মঙ্গলবার সঞ্জীবন হাসপাতালে উদ্বোধন করেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এবং পুরসভার প্রতিনিধিরা।
এদিন মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, এটা একটা মহৎ উদ্দেশ্য। এমারজেন্সির সময় রোগী যাতে চিকিৎসা পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। কোন মানুষ যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেটাই থাকবে মূল লক্ষ্য। এই হাসপাতাল অনেক পুরনো। রেডক্রস হাসপাতালে আগে পরিষেবা মিলতো। তবে সেটা ছিল খুবই অল্প। এখন এখানে ডায়ালিসিস অর্থপেডিক ওটি মেল ফিমেল ওয়ার্ড আই সি ইউ ও এইচ ডি ইউ পরিষেবা পাওয়া যাবে। সবাই যাতে সুস্থ থাকে এটাই আমরা চাই কিন্তু অসুস্থ হলে যাতে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে এবং চিকিৎসা যাতে পেতে পারে তার জন্যই আমাদের এই ব্যবস্থা।
বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছেন, এটা অনেক পুরনো সংস্থা। রেডক্রসের সঙ্গে একটা চুক্তি হয়েছে বেসরকারী একটি হাসপাতালের। তাদের একটা বড় ইউনিট হাওড়ায় রয়েছে। এখানে দশটা সি সি ইউ খোলা হবে। এবং ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডেও পরিষেবা মিলবে।