ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্যজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘অঞ্চলে আঁচল’ কর্মসূচিতে বিপুল সাফল্য এসেছে। এবার দেড়মাসব্যাপী কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। ২০ মে, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ১৪ বছর পূর্ণ হল। এই দিনটিকে স্মরণ করে রাজ্যজুড়ে দ্বিতীয় পর্যারে কর্মসূচি শুরু করল দলের মহিলা সংগঠন। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘তোমার ঠিকানা, উন্নয়নের নিশানা’।
২০১১ সাল থেকে রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো একের পর এক প্রকল্প নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে প্রকল্প ঘোষণা করেছেন, তা-ই করেছেন। দপ্তরওয়াড়ি বাজেটে নারী ও শিশুকল্যাণে বরাদ্দ তো হয়েছেই, ‘জেন্ডার বাজেটে’ও বাড়তি বরাদ্দ হয়েছে। তারই সুফল ভিত মজবুত করেছে নারী সমাজের। সরকারের এই সাফল্য তুলে ধরতে ও সমাজের নারীদের একজনও যাতে সেই সাফল্যের বাইরে না থেকে সেই উদ্দেশে এই নতুন কর্মসূচি শুরু করল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস।
মঙ্গলবার ঢাকুরিয়া, গোলপার্ক-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় এই কর্মসূচি করেছেন সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ছিলেন কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারপার্সন চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ও। চন্দ্রিমাদেবীর কথায়, “রাজ্যজুড়ে মহিলাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যা যা প্রকল্প নিয়েছেন তা গোটা বিশ্বে দৃষ্টান্ত। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের সে কথাই জানানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি সব প্রকল্পের সুবিধা সকলে পাচ্ছেন কিনা, না পেলে কীভাবে তা পাওয়া যাবে, তার সবটাই বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” কর্মসূচিগুলি এক জায়গায় রেখে একটি লিফলেট বানিয়ে তা বিলিও করা হয়েছে বাড়ি বাড়ি।
নারী কল্যাণে দপ্তরওয়াড়ি বাজেট ১০ শতাংশ। জেন্ডার বাজেটেও বরাদ্দ হয় আরও অনেকটা। সব মিলিয়ে ৪৮.১৩ শতাংশ বরাদ্দ সমাজের মেয়েদের জন্য। অর্থমন্ত্রীর কথায়, “মেয়েরা ‘অর্ধেক আকাশ’ শুধু কথার কথা নয়, মুখ্যমন্ত্রী এই কথাটাতে বাস্তবে পরিণত করেছেন।” এই কর্মসূচি চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।