• মাটিগাড়ায় স্কুলের জমি ফের দখল! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পঞ্চায়েত সমিতির
    বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বাগডোগরা: চা বাগানের জমিতে হোটেল তৈরি ও সরকারি স্কুলের জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতি। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত মাটিগাড়ার চাঁদমণি চা বাগান এলাকায় চাঁদমণি টি এস্টেট বেসিক প্রাইমারি স্কুল ও চাঁদমণি টি এস্টেট জুনিয়র হিন্দি হাইস্কুলের  জমি দখল ও দাগাপুর চা বাগানে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই হোটেল তৈরির অভিযোগ জানালেন পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি সুশান্ত ঘোষ। 

    মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে সুশান্তবাবু ইমেল করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন। সেই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে থাকা চাঁদমণির সরকারি স্কুলের জমি পুনরায় দখল হচ্ছে। এদিকে, ওই চা বাগানের জমিতে অবৈধভাবে হোটেল তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে প্রশাসনের কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি। বাগানের অব্যবহৃত ৩০ শতাংশ জমিতে পর্যটনশিল্প করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই চা বাগানে সেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। প্রশাসনকে একরকম অন্ধকারে রেখেই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। 

    মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি বলেন, সরকারি স্কুলের ওই জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ভবনটি প্রশাসনের নির্দেশে আগেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সেই জমি পুনরায় দখল করার চেষ্টা চলছে। টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে জমিটি। মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে। 

    যদিও বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দিলীপ রায় বলেন, স্কুলের জমি দখল করার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক ও এসজেডিএ’কে চিঠি দিয়েছি। আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি যাতে স্কুলের জমি চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে জমি জরিপ করা হয়েছে। পুনরায় আমি জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলব। এবিষয়ে দাগাপুর চা বাগানের ম্যানেজার সন্ত ছেত্রীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে মোবাইল সুইচ অফ করে দেন। অপরদিকে মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস জানান, চাঁদমণির ওই জমিতে ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা গিয়েছিল। সেখানে নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। এছাড়াও ওই চা বাগানের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা নির্দেশ আসবে সেইমত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)