• শিবরামপুরে কাঁটাতারের ওপারে জমিতে যেতে কড়াকড়ি বিএসএফের, বিপাকে চাষিরা
    বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা ভারতের। তার জেরে সীমান্ত এলাকাগুলিতে বিএসএফের কড়াকড়ি বাড়ছে। এর জেরে বালুরঘাটের শিবরামপুরে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। অভিযোগ, কাঁটাতারের ওপারে বিঘার পর বিঘা জমিতে লাগানো ধান পাকলেও তা কাটতে যেতে পারছেন না কৃষকরা। বিএফএফের তরফে ধান কাটতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি নানা সমস্যা হচ্ছে। এমন সমস্যার খবর কানে পৌঁছতেই মঙ্গলবার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের শিবরামপুর সীমান্ত এলাকায় যান বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি প্রথমে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সদস্য ও গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর সমস্যার কথা শুনে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে পৌঁছন। বিএসএফের সঙ্গে ঘণ্টা খানেক বৈঠক করে ধান কাটার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি মুক্ত করার কথা বলেন। পরে বাসিন্দাদের সতর্ক করার পাশাপাশি ধান কাটার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। কিছুদিন আগে কোচবিহারের শীতলকুচিতে এক কৃষককে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশিরা। অনেক কষ্টে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এমতাবস্থায় বিএসএফ কড়াকড়ি করছে। বালুরঘাটের সীমান্তের মানুষের কিছু সমস্যা হচ্ছে। তাই সমস্যাগুলি নিয়ে এদিন আমরা এসেছিলাম। গ্রামবাসীদের পাশাপাশি বিএসএফের সঙ্গে কথা বললাম। গ্রামবাসীদের ফসল কাটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এদিন সন্ধ্যায় বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন। সেখানে তাঁরা সমস্যা মেটাবেন। এই এলাকাগুলিতেও বিভিন্ন স্লিপার সেলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে বিএসএফকে কড়া হতে হচ্ছে। এখানকার মানুষজন সহজ সরল। তাই সবাইকে এব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছি।

    বিএসএফ সূত্রে খবর, শিবরামপুর সীমান্তে বহু কৃষকের জমি কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে। অনেক জায়গা আবার কাঁটাতার বিহীন। তাই সেই জায়গাগুলিতে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়ছে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে ধান কাটার সময় হয়েছে। ধান কাটতে গেলে বিএসএফের অনুমতি নিতে হচ্ছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিএসএফ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুমতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। গ্রামের এক মহিলা মিতু কুণ্ডু বলেন, কাঁটাতারের ওপারে আমার ১১ বিঘা জমি রয়েছে। তারমধ্যে ছ’বিঘা জমিতে ধান লাগানো রয়েছে। ধান  পেকে গেলেও কাটতে পারছি না। বিএসএফ অনুমতি দিচ্ছে না। ফলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)