• গন্ডারের হামলায় ঠাকুমা-নাতনির মৃত্যুর পর গ্রামবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং
    বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়ায় গন্ডারের হামলায় ঠাকুমা ও নাতনির মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসল বনদপ্তর। মঙ্গলবার থেকে বনদপ্তর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুর রেঞ্জ লাগোয়া গ্রাম ও বনবস্তিগুলিতে মাইকিং শুরু করল। মাইকিং করে বাসিন্দাদের জঙ্গলে না ঢোকার 

    জন্য সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। 

    সোমবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে বিডি-২ কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে একটি ঝোরায় মাছ ধরতে গিয়ে গন্ডারের হামলায় মৃত্যু হয় আপেট রাভা (৬০) ও টাপিতা রাভা (২৩)-র। সম্পর্কে তাঁরা ঠাকুমা ও নাতনি। তাঁদের বাড়ি কালচিনির কোদালবস্তি এলাকায়। ঘটনার পরেই কড়া অবস্থান নিয়েছে বনদপ্তর। জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম ও বনবস্তিগুলিতে মাইকিং করে বাসিন্দাদের জঙ্গলে ঢুকতে নিষেধ করছে বনদপ্তর। বনকর্মীরা মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলা হচ্ছে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ, নদী ঝোরায় মাছ ধরতে ও গোরু নিয়ে কেউ জঙ্গলে ঢুকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী আইনে মামলা করা হবে। এই আইনে তিন বছর থেকে ছয় বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে বলে বনদপ্তর বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিচ্ছে। 

    জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নভজিৎ দে বলেন, জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম ও বনবস্তিগুলিতে এই মাইকিং টানা এক সপ্তাহ ধরে চলবে। যদিও এটা আমাদের রুটিন কর্মসূচি। তবে এবার টানা এক সপ্তাহ মাইকিংয়ের কাজ চলবে। বক্সার দমনপুর রেঞ্জের এক অফিসার সুজিত বর্মা বলেন, জলদাপাড়ায় গন্ডারের হামলায় দু’জনের মৃত্যুর পর রেঞ্জের আশপাশের গ্রামগুলিতে মাইকিং করে সবাইকে জঙ্গলে ঢুকতে নিষেধ করা হচ্ছে। 

    এদিন দমনপুর রেঞ্জ লাগোয়া বাইরিগুড়ি, বনচুকামারী, চাপাতলি, ফোসকাডাঙা সহ আশপাশের সমস্ত গ্রামগুলিতে বনদপ্তরের এই মাইকিং হয়। একইভাবে জলদাপাড়ার সমস্ত রেঞ্জ ও বিট অফিস লাগোয়া বনবস্তিগুলিতেও মাইকিং করে বনদপ্তর।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)