কোচবিহারে ট্রেড লাইসেন্স ও মিউটেশন নিয়ে রবি-ব্যবসায়ী সমিতির দ্বন্দ্ব চরমে
বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: মুখ্যমন্ত্রীকে বিভ্রান্ত করেছেন, সময় নষ্ট করেছেন কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এর পিছনে কোনও অশুভশক্তি রয়েছে। না হলে কেন বারবার কোচবিহার পুরসভাকে আক্রমণ করা হচ্ছে? মঙ্গলবার কোচবিহার পুরভবনে বসে এমনই অভিযোগ করলেন পুর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। একইসঙ্গে কোচবিহার পুরসভার অধীনে থাকা ভবানীগঞ্জ বাজার সংস্কারের বিষয়টি এমএসএমই দপ্তরকে দেওয়ায় চেয়ারম্যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এদিকে, পুরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করা ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রচুর। তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শহরে প্রায় ২০ হাজার দোকান ও ব্যবসা রয়েছে। তারমধ্যে মাত্র ৩৮০০ ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স আছে। পুরসভা এখন সেই তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে। অনেকের ফায়ার, ফুড লাইসেন্স নেই বলেও পুরসভার দাবি।
যদিও ব্যবস্যায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়টি পুরসভা দেখুক। মিউটেশন ফি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের দাবি, সারা রাজ্যে যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম মতো এখানেও মিউটেশনের কথা বলা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে পুরসভা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাপানউতোর ফের বৃদ্ধি পেল।
রবি ঘোষ বলেন, কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষ সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উনি বারবার মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধির কথা বলেছেন। ২০১৭ সালে এই কর চালু হয়েছে। ২০১৯ সালে তা অনলাইনের মাধ্যমে হয়েছে। অনলাইন চালু হলে সেখানে হাত দেওয়ার কিছু থাকে না। পরিবর্তন করতে হলে দপ্তরে প্রস্তাব পাঠাতে হয়। শহরে ব্যবসা করছেন, অথচ বহু ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স নেই। তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি কখনও ভাড়াটিয়ার নামে মিউটেশন হয় না। ভাড়াটিয়ার সঙ্গে এগ্রিমেন্ট হয়। ২০১০ সালের পর থেকে এক পয়সাও পুরকর বাড়েনি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলে সরাসরি পুরসভাকে দেবেন। আমি এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁকে সবই জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এনিয়ে যা বলার সংগঠনের সভাপতি বলবেন। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মতিলাল জৈন বলেন, কে কাকে বিভ্রান্ত করছেন তা তথ্য যাচাই করলেই বোঝা যাবে। আমরা চাই, সকলেই নিয়ম মেনে ব্যবসা করুন। কারা ট্রেড লাইসেন্স করলেন আর কারা করলেন না, তা দেখার দায়িত্ব পুরসভার। পুরসভা ব্যবস্থা নিক। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। সারা পশ্চিমবঙ্গে মিউটেশন হচ্ছে। আইন করে গোটা পশ্চিমবঙ্গে তা বন্ধ করলে আমরা তাহলে আর বলতে যাব না। একই রাজ্যে আলাদা আলাদা নিয়ম তো হতে পারে না!