জল্পেশে স্কাইওয়াক, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন বিজেপি নেতা
বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে স্কাইওয়াক চালু হওয়ায় খুশি বিজেপির জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সম্পাদক অনুপ পাল। মুখ্যমন্ত্রীর এই উন্নয়ন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন। লিখেছেন— ‘শুধু দক্ষিণেশ্বর বা কালীঘাটে নয়, এবার উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরেও স্কাইওয়াক চালু হল। হরহর মহাদেব’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন স্কাইওয়াকের। এটি তৈরি হওয়ায় শৈবতীর্থ জল্পেশ মন্দিরে আসা প্রত্যেক পুণ্যার্থীর সুবিধা হবে, সেজন্যই এই কাজের প্রশংসা করেছি বলে জানান অনুপবাবু।
বিজেপি নেতার পোস্টের ব্যাপারে রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে ফোন করা হলে তিনি বিজেপি নেতার এমন চিন্তাভাবনার প্রশংসা করেছেন। বলেন, বিরোধীরা প্রচুর কথা বলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে কাজের মানুষ এবং মানুষের পাশে থেকে কাজ করেন তা বিরোধী ওই নেতার পোস্টেই পরিষ্কার। স্কাইওয়াক তৈরি এবং মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনে মানুষের যে কতটা সুবিধা হবে সেটা বিজেপি নেতারাও জানেন। সেকারণেই ওই নেতা এই ভালো কাজের প্রশংসা করেছেন, ওঁকে ধন্যবাদ জানাই।
অনুপ পাল বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পদে একসময় ছিলেন। তিনবার পঞ্চায়েত সদস্যও হন। অনুপবাবু এদিন বলেন, সবক্ষেত্রে রাজনীতি করা ঠিক নয়। ময়নাগুড়ির মতো ছোট জায়গায় স্কাইওয়াক হওয়ায় আমরা ময়নাগুড়িবাসী খুশি। সেকারণে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। উন্নয়নকে সমর্থন করি। কিন্তু উন্নয়নের কাজে রাজনীতি নয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি। শ্রাবণী মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয় জল্পেশ মন্দিরে। পুজো দিতে ভক্তদের সমস্যা হয়। এটা হওয়ায় কিছুটা হলেও সুরাহা হল।
কানাঘুঁষো শুরু হয়েছে, তাহলে কী অনুপবাবু জার্সি পরিবর্তনের কথা ভাবছেন? কারণ কিছুদিন আগে তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন সেসময় তৃণমূল নেতারা তাঁর বাড়ি এসে খোঁজখবর নিয়ে যান। যদিও এসব গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামল রায়কে ফোন করা হলে রিসিভ করেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি। এসব নিয়ে কিছু বলতে নারাজ বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক চঞ্চল সরকার। অনুপ পালের সেই পোস্ট।