• কয়েক হাজার কোটির প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস মমতার
    বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
  • তারক চক্রবর্তী, ফুলবাড়ি: উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর নয়, রাজ্য সরকারের সবক’টি বিভাগ একত্রে কাজ করে চলেছে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার কয়েক হাজার কোটি টাকা সাধারণ মানুষের জন্য একাধিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। একদিকে যেমন সেখানে রয়েছে চা সুন্দরী প্রকল্পের বাড়ি, ঠিক তেমনই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা যুক্ত হাসপাতালও রয়েছে। 

    মঙ্গলবার শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে ফুলবাড়ির ভিডিওকন মাঠে একাধিক প্রকল্প সূচনার প্রাক্কালে ঠিক এমনভাবেই রাজ্য সরকারের উত্তরবঙ্গবাসীর প্রতি যে পরিকল্পনা রয়েছে তা স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১২ লক্ষ মানুষের জন্য ১৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনার টাকা বন্ধ রাখলেও রাজ্য সরকার নিজস্ব খাত থেকে এই খরচ করেছে। আলু চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লক্ষ ২ হাজার কৃষককে ১৫৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ডাবগ্রামে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পরিকাঠামো উন্নয়নে ২৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে চতুর্থ এবং পঞ্চম ফেজে ১৮ কোটি টাকা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়েছে। জায়গাঁয় নতুন করে পানীয় জল প্রকল্পে ৯৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। জলপাইগুড়িতে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার এবং আলিপুরদুয়ার ১ লাখ ৭৫ হাজার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পানীয় জল। শিলিগুড়ির সহ উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় পানীয় জল প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও ধর্ম-বর্ণ বিভেদ না করেই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছি আমরা। 

    এদিন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকায় কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের মুজনাই চা বাগানে ২০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে ২৯৮ জনকে চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘর দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার পুরসভা এলাকায় তিনটি বক্স কালভার্ট সহ বক্সা ফিডার রোডের মানোন্নয়নে ৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। পানীয় জল, রাস্তাঘাট, সোলার বাতি সহ একাধিক স্কুলের ক্লাসরুমের জন্য কয়েক কোটি টাকার বরাদ্দ হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। একইভাবে জলপাইগুড়ি জেলার মাল ও নাগরাকাটা ব্লকে চা সুন্দরী প্রকল্পে ঘর দেওয়া হয়েছে। বানারহাটে ৩০ বেডের হাসপাতালের জন্য ৩০ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের জন্য ২৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। জেলাজুড়ে রাস্তাঘাট, সেতু সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অর্থ বরাদ্দের কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, চারিদিকে এত উন্নয়ন হচ্ছে। এসব দেখার পরও শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য বিরোধীরা কুৎসা রটাচ্ছে। এদিনের অনুষ্ঠানে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ সহ তিন জেলার ডিএম, এসপি ছিলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)