সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: মঙ্গলবার নবদ্বীপের মঙ্গলচণ্ডীতলায় মা মঙ্গলচণ্ডী মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় করেছিলেন অসংখ্য পুণ্যার্থী। ভোর হতে না হতেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা অসংখ্য ভক্ত পুজো দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে যান। এদিন নবদ্বীপ সহ পার্শ্ববর্তী পূর্ব বর্ধমান জেলার শ্রীরামপুর, ফলেয়া, বিদ্যানগর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু পুণ্যার্থী মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় করেন।
নবদ্বীপের অন্যতম প্রাচীন এই মঙ্গলচণ্ডী মাতার মন্দির। এখানে রয়েছে অষ্টধাতুর একটি ছোট মঙ্গলচণ্ডী বিগ্রহ। দেবী এখানে পদ্মাসনে অধিষ্ঠিন করেন। দেবী দ্বিভূজা, তাঁর এক হাতে বর এবং অন্য হাতে অভয়মুদ্রা। এই দেবী হলেন মা দুর্গার এক রূপ। পুরাণ মতে, ত্রিপুরাসুরকে বধ করতে যাওয়ার সময় মহাদেব বিপদে পড়েন। তা থেকে উদ্ধার পেতে শ্রীহরি বিষ্ণু মহাদেবকে মা মঙ্গলচণ্ডীর স্তব করতে বলেন। সেইসময় মা দুর্গা মঙ্গলচণ্ডীর রূপ ধারণ করেছিলেন। সেই থেকেই তিনি মা মঙ্গলচণ্ডী।
মঙ্গলচণ্ডী ট্রাস্টিবোর্ডের সম্পাদক শিল্পী ঘোষ বলেন, প্রায় ৫০০বছরের প্রাচীন এই মঙ্গলচণ্ডী মাতার মন্দির। এই হেরিটেজ মন্দিরে প্রতিদিন দু’বেলা নিত্যপুজো হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রতি মঙ্গলবার দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে মানুষ মন্দিরে আসতে শুরু করেছেন। ভোর ৪টে থেকে পুজো শুরু হয়েছে।
স্থানীয় চারিচারা বাজার থেকে পুজো দিতে এসেছিলেন গৃহবধূ মৌসুমী সাহা। তিনি বলেন, বিয়ে হয়ে আসার পর থেকে প্রতি বছরই উপবাস করে এখানে পুজো দিই। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ফলেয়া থেকে সকালের ট্রেন ধরে পুজো দিতে এসেছিলেন গৌরী ঘরামি। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ায় সকালে পুজো দিতে এসেছি। প্রতিবছরই এখানে আসি। মা মঙ্গলচণ্ডী আমাদের মঙ্গল করেন।