• আধঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর, জবরদখল সরাতে অভিযান শুরু আসানসোল পুরসভার
    বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: শনিবার মাত্র আধ ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টিতে আসানসোল শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যায়। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ হটন রোডে হাঁটুসমান জল জমে। নিকাশি নালা, ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার জেরেই এই পরিস্থিতি। এবার জবরদখল হটাতে চূড়ান্ত তৎপর হল পুরসভা। সোমবার পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের দোকান গুটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন। মঙ্গলবার মেয়র বিধান উপাধ্যায় এলাকায় গিয়ে রাস্তা দখলমুক্ত করার অনুরোধ জানান। জোড়হাত করে ব্যবসায়ীদের দখল করার রাস্তা ও নিকাশি নালার অংশ ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ করেন। বৃহস্পতিবার থেকেই জবরদখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হবে। জানা গিয়েছে, রাস্তার দু’পাশে নিকাশি নালা তৈরি করা হবে। 

    শুধু নিকাশি নয়, বর্ষার আগে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। সোমবার পুরসভার বোর্ড মিটিং হয়। তখনই বিষয়টি জানান মেয়র। মেয়র জানিয়েছেন, কাউন্সিলাররা খারাপ রাস্তার তালিকা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে আমরা ১৫টি রাস্তা বেছে নিয়েছি। যেগুলির অত্যন্ত বেহাল অবস্থা। সাড়ে ছ’কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ষার আগেই রাস্তাগুলি সংস্কার করা হবে। হটন রোড শহরবাসীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। শহরের বড় অংশের মানুষের যোগাযোগের লাইফ লাইন এই রাস্তা। এখান দিয়েই সরাসরি সিটি বাসস্ট্যান্ড হয়ে এসবি গরাই রোড, জেলা হাসপাতাল সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাওয়া যায়। ওইসব এলাকার মানুষজন বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন আসতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। এহেন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ফুটপাত দখলের পাশাপাশি রাস্তাও ব্যবসায়ীরা দখল করে নিয়েছেন। ভেঙে পড়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। 

    শনিবার বৃষ্টিতে ব্যাপক সমস্যা হয়। এই অবস্থায় নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে হটন রোডে নিকাশি নালা তৈরিই পাখির চোখ পুরসভার। কারণ হটন রোড জবরদখল মুক্ত করতে পারলে শহরের বাকি জায়গায় সুবিধা হবে। সতর্কভাবে পা ফেলছে পুরসভা। সোমবার পুরসভার একটি দল এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছে। এদিন মেয়র ব্যবসায়ীদের বোঝান। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চান।  পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওইদিন বোর্ড মিটিংয়ে আরও একটি বিষয় উত্থাপন করেন ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক। তিনি বলেন, পুরসভার যে বিপুল পরিমাণ প্রিন্টার কেনা হয়েছে তা কেন বোর্ড মিটিংয়ে আগে আলোচনা করা হল না। পরে তিনি বলেন, কত টাকার ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে তা দেখতে চেয়েছি।
  • Link to this news (বর্তমান)