কাজ দেখাতে না পারলে পদ ছাড়ুন, হুমকি তৃণমূল নেতৃত্বের
বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, বনগাঁ: লক্ষ্য ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন, বিজেপির হাত থেকে বনগাঁকে ছিনিয়ে নেওয়া। সেই লক্ষ্যেই মঙ্গলবার বনগাঁয় একটি আলোচনাসভার ডাক দেয় বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন বনগাঁ নীলদর্পণ প্রেক্ষাগৃহে আলোচনাসভাটি হয়। সেখানে জেলার প্রতিটি বিধানসভা থেকেই নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া মন্তব্য করতে শোনা যায় জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসকে। তিনি বলেন, আমরা সারা রাজ্যে ভালো ফল করলেও বনগাঁয় ভালো ফল করতে পারিনি গত কয়েক বছরে। ২০১৯ সাল থেকে বনগাঁয় দলের রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে।
দলের কিছু নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, কিছু অঞ্চল সভাপতি মৃতপ্রায়। কোনও কাজে তাঁদের দেখা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র পদ আঁকড়ে বসে আছেন। এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কাজ দেখাতে না পারলে পদ ছেড়ে দিন। দলে কাজের লোকের প্রয়োজন। সুযোগ সন্ধানীদের দলে কোনও জায়গা নেই। পাশাপাশি যুব সংগঠনকে কড়া ভাষায় বলেন, যুবদের মধ্যে কিছু অযোগ্য লোক রয়েছে। দলের জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বনগাঁ। বাম আমলেও বনগাঁয় ভালো ফল করেছে দল। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে তৃণমূলের থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে বনগাঁবাসী। গত লোকসভাতেও বনগাঁয় ভরাডুবি হয়েছে দলের। সেই কথা মাথায় রেখে এদিন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। দল বনগাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। উল্টে আমরা কিছুই দিতে পারিনি। ২০২৬-এর নির্বাচনে বিজেপির হাত থেকে বনগাঁ ছিনিয়ে না আনতে পারলে পদ ছাড়বেন বলেও জানান তিনি।
তবে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, তৃণমূল কুকর্মে জর্জরিত। ২০১৯ সাল থেকে বনগাঁর মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমা করেনি। এবারও করবে না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মুখে অনেক কথা বলেন। লোকসভার আগেও বলেছিলেন, জিততে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। বারবার দলত্যাগীকে মানুষ গ্রহণ করবে না।