রোগীদের দত্তক নিতে আগ্রহ কম, এখনও যক্ষ্মামুক্ত নয় বহু পঞ্চায়েত
বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : যক্ষ্মামুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে আক্রান্ত রোগীদের দত্তক নিয়ে তাঁদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে হবে। যাঁরা দত্তক নেবেন, তাঁদের বলা হয় ‘নিক্ষয় মিত্র’। কোনও অঞ্চলকে যক্ষ্মামুক্ত ঘোষণা করার ছটি শর্তের মধ্যে অন্যতম হল দত্তক নেওয়া।
কিন্তু যক্ষ্মা রোগীদের দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে সমাজের আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন ব্যক্তিদের যথেষ্ট অনীহা রয়েছে। যার ফলে এখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই স্বাস্থ্য জেলার বহু পঞ্চায়েতকে যক্ষ্মামুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা যাচ্ছে না। চিকিৎসক মহলের দাবি, রোগীদের মধ্যে অনেকেই খুবই গরীব ও দুঃস্থ। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ যদি তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন, তাতে যেমন রোগীরা উপকৃত হবেন, তেমনই টিবি মুক্ত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্য পূরণ হতে সাহায্য করবে।
গত তিন বছরে ১১ হাজারের বেশি যক্ষ্মা রোগীর সন্ধান মিলেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। তার মধ্যে মাত্র তিন হাজারের সামান্য বেশি রোগীকে দত্তক নেওয়া হয়েছে। ফলে পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, বেশিরভাগ রোগী এই সহায়তা পাননি। যার জন্য কেন্দ্রীয় নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতকে যক্ষ্মামুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। জেলা জুড়েই সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেই দত্তক নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ কম। অন্যান্য জেলায় প্রশাসন থেকেই বহু আধিকারিক দত্তক নেওয়ার কাজে এগিয়ে এসেছেন। যেমন সম্প্রতি বীরভূমের জেলাশাসক তাঁর জেলার ৬২২ জন রোগীকে দত্তক নিয়েছেন। চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, অন্য জেলায় এমনটা হলে এখানে কেন কেউ এগিয়ে আসছেন না? দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক মুক্তি সাধন মাইতি বলেন, আমাদের আহ্বান, যক্ষ্মা রোগীদের দত্তক নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসুন সবাই। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা সেই পঞ্চায়েতকে যক্ষ্মামুক্ত হিসেবে ঘোষণা করতে পারব। সূত্রের খবর, এই স্বাস্থ্য জেলায় ৩৮টি পঞ্চায়েত (যেখানে যক্ষ্মা রোগী আছে) এখনও টিবি মুক্ত বলা যাচ্ছে না। এদিকে ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলায় ৮০০ মতো রোগী থাকলেও দত্তক নেওয়া হয়েছে ১৬৮ জনকে।