• আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না, ‘আবেদন’ বারাকপুর কমিশনারেটের
    বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিসের তোলাবাজি এবং তার প্রতিবাদের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল। নেট দুনিয়ায় এখনও সেই ভিডিও ঝড়ের গতিতে শেয়ার হয়ে চলেছে। বইছে কমেন্টের বন্যা। এই আবহে মঙ্গলবার বারাকপুর কমিশনারেটের তরফে সমাজ মাধ্যমে এনিয়ে সচেতনতামূলক পোস্ট করা হয়। সেখানে একটি ফোন নম্বর দিয়ে বলা হয়, ‘কোনও অপ্রীতিকর অনৈতিক ঘটনা দেখলে দ্রুত আমাদের নিম্নলিখিত নম্বরে শেয়ার করুন। কিন্তু কোনওমতেই আইন হাতে তুলে নেবেন না। তেমনটা হলে পুলিস আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’ পুলিসের এই পোস্টে যাবতীয় বিতর্ক থিতিয়ে আসার বদলে নতুন করে যেন উস্কে উঠেছে! কারণ, পোস্টের নীচে মন্তব্যের জায়গায় আম জনতা রীতিমতো বিষোদ্গার করেছে পুলিসের বিভিন্ন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। 

    সোমবার দুপুরে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিসের বিরুদ্ধে তোলাবাজি নিয়ে সরব হন এক মহিলা সমাজকর্মী। তাঁর রণংদেহী মেজাজের সামনে ভয়ে কুঁকড়ে যান তোলাবাজিতে অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং বরানগর থানার এক এএসআই। এমনকী, মহিলার দাপটে একসময় কান্নাকাটি জুড়ে দেন এবং তাঁর পা ধরে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় ওই সিভিককে। এএসআই হাতজোড় করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। সেই ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সমাজ মাধ্যমে। অস্বস্তিতে পড়ে বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট ওই এসএসআইকে ‘ক্লোজ’ করেছে। সিভিক ভলান্টিয়ারকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর মঙ্গলবার কমিশনারেটের তরফে সমাজমাধ্যমে এই ‘সচেতনতা’ ও ‘সতর্কতামূলক’ বার্তা পোস্ট করা হয়। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, এই ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা কারও নজরে পড়লে ৯৮৭৪৪৪৭৯২৯ নম্বরে ফোন করে জানান। এই পোস্টের নীচেও নেট নাগরিকরা মতামতের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। সিংহভাগ মন্তব্যই তাঁদের দৈনন্দিন তিক্ত অভিজ্ঞতার বিবরণ। এক ব্যক্তি যেমন লিখেছেন, ‘লালকুঠি ব্রিজের নীচে প্রতিদিন আপনাদের কর্মকাণ্ড আমরা দেখছি। আপনারা নিজেরাও জানেন, কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা সেখানে কী করেন।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘তালপুকুর পেট্রল পাম্পের কাছেও একই ছবি আমরা দেখি।’ ওয়ারলেস মোড়ের কথা উল্লেখ করে একজন লিখেছেন, ‘মানুষকে ভয় না দেখিয়ে নিজেরা আইন মেনে চলুন।’ পুলিসের এই পোস্টের নীচে বিরূপ মন্তব্যের বন্যা আসলে বহু মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 
  • Link to this news (বর্তমান)