এই সময়: সোমবারের পর মঙ্গলবারও ভাড়া বৃদ্ধি–সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বেসরকারি বাস–মালিকদের একাধিক সংগঠন। তবে সোমবারের মতো এ দিনের বৈঠকও বেরোল না কোনও সমাধান–সূত্র। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বাস ধর্মঘট হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন বেসরকারি বাসের মালিকরা।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের কোনও দাবিই পরিবহণ দপ্তর মেনে নেয়নি। ফলে ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই।’
সংগঠনের বক্তব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। সেই অনুপাতে বাসের ভাড়া অনেক কম। ২০১৮–র পরে রাজ্যে বাসের ভাড়া আর বাড়েনি। তা ছাড়া পরিবেশ দূষণ এড়াতে কলকাতা হাইকোর্ট ১৫ বছরের বেশি বয়সি বাসগুলি চলার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে বিনা অপরাধে পুলিশের কেস দেওয়ার সংখ্যা বেড়ে চলেছে বলেও দাবি সংগঠনের কর্মকর্তাদের।
এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি বাস–মিনিবাস মালিকদের পাঁচটি সংগঠন তিন দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এই পাঁচটি সংগঠন হলো—পরিবহণ বাঁচাও কমিটির অন্তর্গত জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস–মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো–অর্ডিনেশন কমিটি এবং ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনগুলির দাবি, মেয়াদ–উত্তীর্ণ বাস চলার ক্ষেত্রে দু’বছর বাড়তি সময় দিতে হবে। বাড়াতে হবে ভাড়া। বন্ধ করতে হবে পুলিশের জুলুম। এ প্রসঙ্গে পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘দাবি পূরণের জন্যে ধর্মঘট কোনও রাস্তা হতে পারে না। কারণ এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।’