• রাজ্যে জাপানি এনকেফেলাইটিসের বলি কিশোর! জেনে নিন উপসর্গ
    প্রতিদিন | ২১ মে ২০২৫
  • রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে কিশোরের মৃত্যু। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। মৃত কিশোরের নাম ঋতম কুণ্ডু। তার বাড়ি আলিপুরদুয়ার শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দনগর এলাকায়।

    জানা গিয়েছে, মৃত ঋতম আলিপুরদুয়ার শহরের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ক্লাস ফাইভে পড়ত। বাবা রাজা কুণ্ডু এলাকাতেই পানের দোকান চালান। তিনি জানিয়েছেন, ১৮ এপ্রিল ঋতমকে আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্বর না কমায় ২০ এপ্রিল কিশোরকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা জানান, ঋতমের জাপানি এনকেফেলাইটিস হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। ২৫ এপ্রিল রাজা কুণ্ডু ছেলেকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘ প্রায় এক মাস সেখানে চিকিৎসার পর মৃত্যু হল কিশোরের।

    মৃতের মা বলেন, “জ্বর ও গা ব্যথার কথা বলত ছেলে। তার পর ধীরে ধীরে অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করে। এরপর শরীরে হাত দিলেই বলত আমার শরীরে ইঞ্জেকশন দেওয়া আছে। কখনও বলত আমার কোমর ভেঙে যাবে। ও অনেক কষ্ট পেয়ে চলে গেল।” উপসর্গ দেখেই সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। পরীক্ষা করতেই জানা যায় মূল সমস্যা। শুরু হয় চিকিৎসা, কিন্তু তাতেও লাভ হল না। এই মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাক্তার পরিতোষ মণ্ডল বলেন, “জাপানি এনকেফেলাইটিস পরীক্ষা একমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজেই হয়। যেমন উপসর্গ শুরু হয় সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়। জ্বর না কমায় পরিবারের লোক বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় আমরা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বাচ্চাটিকে রেফার করেছিলাম। এই রোগ মশার কামড় থেকেই হয়। শুয়োর এই রোগের ভাইরাস বহন করে। বাচ্চাটি নিশ্চয়ই ছোটবেলায় জাপানি এনকেফেলাইটিসের টিকা নেয় নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)