• মেদিনীপুর পুলিশে ‘রুটিন বদলি’, মহিলা থানার বিতর্কে জড়ানো সেই ওসি সাথীকে পাঠানো হল গোয়েন্দা বিভাগে, নতুন দায়িত্বে সায়ন্তনী
    আনন্দবাজার | ২১ মে ২০২৫
  • মেদিনীপুর মহিলা থানার ওসি সাথী বারিককে বদলি করা হল। তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা গোয়েন্দা বিভাগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর মহিলা থানার নতুন ওসি করা হয়েছে সায়ন্তনী মণ্ডল চট্টোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলা পুলিশের একটি নির্দেশিকায় মোট ৪২ জনের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানেই সাথীর বদলির নির্দেশ রয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এটি রুটিন বদলি। প্রসঙ্গত, সাথীর বিরুদ্ধে মহিলা থানায় নিয়ে গিয়ে এসইউসিআই-এর ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র সদস্যদের নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিষয়টি এখনও হাই কোর্টে বিচারাধীন।

    সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের সংগঠনের সম্মেলন ঘিরে হইচই হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গা়ড়ির নীচে এক ছাত্র চাপা পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। তার প্রতিবাদে এসএফআই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। অভিযোগ, এই ধর্মঘটের সমর্থনে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পৌঁছতেই কয়েক জন প্রাক্তন পড়ুয়াকে জোরজবরদস্তি থানায় তুলে নিয়ে যায় মেদিনীপুর মহিলা থানার পুলিশ। ওই পড়ুয়ারা এসইউসিআই-এর ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র সদস্য। অভিযোগ, থানার ওসি সাথী বারিক ওই পড়ুয়াদের জ্বলন্ত মোমবাতি দিয়ে ছেঁকা দেন। নির্যাতন করে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন পড়ুয়া। সেই আবেদন শুনে বিচারপতি ঘোষের পর্যবেক্ষণ ছিল যে, আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়া হোক। সেই দায়িত্ব তিনি দিয়েছিলেন আইপিএস অফিসার মুরলীকে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ছাত্রীর উপর নির্যাতন হয়েছে। তার পরেই সিট গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ঘোষ।

    সাথীর বদলির নির্দেশের পরে এসইউসিআই জেলা নেত্রী টুম্পা গোস্বামী বলেন, ‘‘আন্দোলনের দিন সংগঠনের সমর্থকদের থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছিল। হাইকোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে।’’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)