• বৈঠকে সুরাহা নেই, কাল থেকে বাস ধর্মঘট
    আনন্দবাজার | ২১ মে ২০২৫
  • জট খুলল না। মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরের পাশাপাশি পুলিশকর্তারা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে হাজির হওয়ার পরেও বেরোল না রফাসূত্র। যার ফল, দিনের শেষে পাঁচ দফা দাবিতে বাসমালিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘বেসরকারি গণপরিবহণ বাঁচাও কমিটি’ কাল, বৃহস্পতিবার থেকে ২৪ মে, শনিবার পর্যন্ত ধর্মঘটে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে। এর ফলে পথে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাধারণ যাত্রীদের।

    এর আগে সোমবারেও দু’দফায় বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনের সঙ্গে পরিবহণ দফতরের সচিব এবং অন্য আধিকারিকদের বৈঠক হয়েছিল। পর পর তিন দফা বৈঠকেও সুরাহা না মেলায় বাধ্য হয়েই আজ, বুধবার থেকে ধর্মঘটের প্রস্তুতি শুরু করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্ব।

    রাস্তায় যথেচ্ছ পুলিশি মামলা-জরিমানা এবং নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রথম থেকে সরব ছিলেন। তারই মধ্যে পয়লা জুন থেকে সংযোগ পোর্টালের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের নির্দেশ ঘিরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার সকালে বাসমালিক সংগঠনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে পরিবহণসচিব ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের যুগ্ম-নগরপাল, হাওড়া ও বিধাননগর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বাসের ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ এবং পুলিশি জরিমানার প্রসঙ্গ ওঠে। পুলিশকর্তারা বেপরোয়া বাস চালানোর ঘটনায় মামলা দেওয়ার কথা বলেন। যদিও বাসমালিক সংগঠনের অভিযোগ, সিগন্যালে আইন ভাঙা নিয়ে বেসরকারি বাসকে যথেচ্ছ জরিমানা মেটাতে হয়।

    জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস-এর সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘নতুন পোর্টালে অভিযোগ প্রমাণ করার চেয়ে জরিমানা আদায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। একতরফা জরিমানা হলে বাস রাস্তায় নামানো অসম্ভব হবে।’’ সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘জরিমানার ফলে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। প্রশাসনিক স্তরে সমস্যার কথা জানিয়েছি। আলোচনার পথ খোলা রাখা জরুরি। তবে ধর্মঘট কোনও সমাধান নয়।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)