বাংলায় যেন কোনও জঙ্গি আশ্রয় না নেয়। উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরাধমূলক কাজ করার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা ঢুকছে বলে দাবি করেন তিনি। বিএসএফের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিনের সভায় মমতা বলেন, ‘আমি শুনছি, অনেক বাইরের লোক বিভিন্ন এলাকায় ঢুকছে। আমাদের সমর্থকদের কাছেও ফোন নম্বর, প্যান, একাধিক ডিটেলস নিয়ে চলেযাচ্ছে। পুলিশকে বলব, বি অ্যাল্যার্ট ! বাইরে থেকে কোনও জঙ্গি ঢুকে যেন শেল্টার নিতে না পারে।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। পুলিশের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘আগে পুলিশ টহল দিত। এখন ঘোরে না। সীমান্ত এলাকা খুব স্পর্শকাতর। কিছুদিন আগেই তো শীতলকুচিতে একজনকে তুলে নেওয়া হলো। তিনি একজন কৃষক ছিলেন এবং নিজের জমি চাষ করছিলেন। তাঁর কোনও দোষ ছিল না। উদয়ন গুহের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিই, তাঁকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করি এবং তাঁকে ফিরিয়েও এনেছি। সীমান্তবর্তী এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে। তোমাদের সকলের সতর্ক থাকা উচিত। বিএসএফের দায়িত্ব বলে আইসি, ওসিরা চোখ-কান বুজে বসে রইলেন, সেটা হয় না।’
বিভিন্ন সমীক্ষার নাম করে গ্রুপে ভাগ হয়ে বাইরে থেকে লোকজন ঢুকছে বলে ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মানুষকে মিথ্যা কথা বলে মানুষের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, সরকারি লোক ছাড়া কাউকে কোনও তথ্য দেবেন না। অনেককে ধরা হয়েছে।’
বৈঠকের মাঝেই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিজি জানান, মালদা, কোচবিহার, ডায়মন্ডহারবারে এরকম লোক ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে আরও সতর্ক থাকতে হবে, প্রয়োজনে গ্রামে গ্রামে টহলদারি বাড়াতে হবে বলেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।