দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনে যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত বুধবারও। এ দিনও হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে অপেক্ষারত যাত্রীরা। মঙ্গলবারের তুলনায় কিছুটা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে ঠিকই। তবে এ দিনও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
এ দিনও হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী, হাওড়া-দিঘা, দিঘা-হাওড়া ও পুরুলিয়া এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের সময়সূচিও বদল করা হয়েছে।
নদিয়ার রাধাবাজার থেকে চেন্নাই যাওয়ার কথা মল্লিক পরিবারের। মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছন তাঁরা। রাত ১১টা ৪৫-এ চেন্নাই মেল ধরার কথা ছিল। তবে সেই ট্রেন বুধবার সকাল পর্যন্ত ছাড়েনি। উল্টে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে কেটেছে।
সীমা মল্লিক জানান, এমন বিপাকে পড়তে হবে ভাবতেও পারেননি। এ দিকে বৃহস্পতিবার সকালেই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট। রেলের এ হেন পরিষেবা নিয়ে বিরক্ত তাঁর স্বামী গৌরব মল্লিক। শুধু এই পরিবারই নয়, অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আরও বহু যাত্রীই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনের অপেক্ষা। আচমকা ট্রেন বাতিল বা রিশিডিউলে যাত্রী ভোগান্তি যে চরমে ওঠে, রেল কি সেটা বোঝে না? প্রশ্ন যাত্রীদের।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ বলেন, ‘একটা সমস্যা হয়েছে। তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে আগের থেকে তা স্বাভাবিক হয়েছে অনেকটাই।’
সাঁতরাগাছিতে ইন্টারলকিং ও নন ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ৩০ এপ্রিল থেকে ১৮ মে পর্যন্ত একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রায় ২ মাস আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানিয়ে দেয় রেল। সেই মতো দফায় দফায় বহু দূরপাল্লার ট্রেন ও লোকাল ট্রেন বাতিলও করা হয়েছিল। অনেক ট্রেনের রুট বদলও করা হয়। তবে সেই সময়সীমা পার হয়ে গেলেও সমস্যা যে পুরোপুরি মেটেনি, মঙ্গলবারই তা বোঝা গিয়েছিল।
ট্রেন বাতিল আর ট্রেন লেটে পথেই দিন কেটে গিয়েছে বহু যাত্রীর। অনেকে আবার সোমবার রাত থেকে বসে ছিলেন স্টেশনে। সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডে সিগন্যাল সিস্টেম ঠিক মতো কাজ না করায় এই সমস্যা হয়। বুধবারও সেই সমস্যা অনেকটাই জিইয়ে রইল।