• বিকাশ ভবনে ভাঙচুর করা শিক্ষকদের শো কজ পর্ষদের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২১ মে ২০২৫
  • শিক্ষকদের আন্দোলন চলাকালীন বিকাশ ভবনে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছিল। ১৫ মে-র সেই ঘটনায় এবার আন্দোলনরত চাকরিহারাদের একাংশকে চিহ্নিত করে শো কজ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ১৬ মে থেকে শো কজের চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে। চিঠিতে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই ধরনের আচরণ কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই প্রতিবাদী চাকরিহারাদের থেকে জবাব চেয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    গত ১৫ মে বিকাশ ভবনের সামনে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা জড়ো হয়েছিলেন। ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের দাবি ছিল, ন্যায্য চাকরি ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান থেকে নড়বেন না। ১৫ মে রাতে তাঁদের আন্দোলনেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে দেন তাঁরা। নষ্ট করা হয় সরকারি সম্পত্তিও। গেটে নতুন তালা ঝুলিয়ে বিকাশ ভবনের কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষকে বেআইনি ভাবে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল।

    স্কুলশিক্ষা দপ্তর-সহ একাধিক সরকারি অফিস রয়েছে। সেই কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষও বিভিন্ন কাজে সেখানে আসেন। পড়ুয়াদের একাংশও বিকাশ ভবনে যান নানা কাজে। ওইদিন গেটে নতুন তালা ঝুলিয়ে বিকাশ ভবনের কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষকে বেআইনি ভাবে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। যাঁরা বিকাশ ভবনে কোনও পরিষেবার জন্য এসেছিলেন, তাঁদেরও হেনস্থা করা হয়।

    পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ ওঠে। এই লাঠিচার্জ নিয়ে পুলিশ আগেই ব্যাখ্যা দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের তরফে সংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়, চাকরিহারাদের প্রতি তাঁদের সহানুভূতি রয়েছে কিন্তু সেদিন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছিল। বেশ কয়েক ঘণ্টা সংযত থাকার পরই পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল। আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবনের কর্মচারী, আধিকারিক এবং সাধারণ মানুষে হেনস্থা করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    পরে চাকরিহারাদের একাংশের বিরুদ্ধে এফআইআর করা করেছে পুলিশ। এবার ভাঙচুরে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর, ওই দিনের ঘটনার ছবি এবং ভিডিয়ো থেকে অনেককেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের কাছে শো কজের চিঠি পাঠানো হচ্ছে। চিঠি হাতে পাওয়ার পর থেকে ৭ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীরা কেন এই ধরনের আচরণ করলেন, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, শো কজের জবাবে তা জানাতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। তারপর থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন চাকরিহারারা। এখনও বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারাদের জমায়েত রয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)