এই মুহূর্তে তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফর শেষ হতেই উত্তরবঙ্গে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গে থাকাকালীনই মঙ্গলবার বিজেপির তরফে জানানো হল, উত্তরবঙ্গ সফরে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন দুপুরে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা জানান, আগামী ২৯ মে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এদিন দুপুরে হঠাৎই বিজেপির একঝাঁক নেতাকে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শন করতে দেখা যায়। ওই দলে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ, কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা-সহ একঝাঁক পদ্ম নেতা। স্বাভাবিক ভাবে এতেই জল্পনা তৈরি হয়। এবিষয়ে সাংসদ মনোজ টিজ্ঞাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি পুরো বিষয়টি পরিস্কার করেন। তাঁর ভাষায়, ‘অপারেশন সিঁদুেরর সাফল্যের পর সেনাকে সম্মান জানাতে আগামী ২৯ মে উত্তরবঙ্গে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সে জন্যই আমরা মাঠ দেখতে এসেছিলাম। কোন জায়গায় মঞ্চ করা যায় সেই সব খতিয়ে দেখা হয়েছে।’
বছর ঘুরলে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। এই আবহে কেবলই কী সেনাদের কৃতিত্ব তুলে ধরতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী? রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন। ছাব্বিশের ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জল্পনায় ইতি টেনে মনোজ জানান, অপারেশন সিঁদুর অভিযানের পর দেশের একাধিক জায়গায় জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কর্মসূচির অংশ হিসাবেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভোট প্রচারে শেষবার আলিপুরদুয়ারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী আসার খবর পৌঁছতেই বিজেপি নেতাদের মধ্যে জোর তৎপরতা দেখা গিয়েছে। মনোজ টিজ্ঞা বলেন, ‘এতদিন পর প্রধানমন্ত্রী আসার খবরে দলের নেতাদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বুথ স্তরের কর্মীদের কাছ অবধি এই খবর পৌঁছয়নি।’ প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরে বিজেপির সংগঠন তুলনামূলক দুর্বল হয়েছে। সম্প্রতি মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির জেতা আসন ছিনিয়ে নিয়েছে ঘাসফুল। এরইমধ্যে উত্তরবঙ্গে বিজেপির দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত জন বার্লা ফুলবদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এই আবহেই আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সভা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।