জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:
জমি আন্দোলন থেকে ন্যানো কারখানা- দু'দশক ধরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সিঙ্গুর। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের রাজনৈতিক উত্থান এক অর্থে সিঙ্গুর থেকেই শুরু। রাজ্যের পালাবদলের পর সরকার তাই সিঙ্গুর নিয়ে বিশেষ যত্নশীল প্রথম থেকেই। শিল্প হোক বা কৃষি- হুগলীর এই গ্রাম কর্মক্ষেত্রে দিশা দেখাচ্ছে অনেকদিন ধরেই।
এবার সেই সিঙ্গুরের লাল লঙ্কা বিদেশ যাত্রা করছে। বৈদেশিক মুদ্রার আমদানি ঘটতে চলেছে সেই সিঙ্গুরের লাল লঙ্কার মাটিতে। সম্প্রতি সিঙ্গুরের থেকে উন্নতমানের লাল লঙ্কা রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশে। গন্তব্য জাপান। যদিও এই রপ্তানি দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর ধরে চলছে কিন্তু হুগলীর হরিপালের লঙ্কার গুণমাণ পরীক্ষার জন্যে স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে জাপানের সংস্থায়। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার অপেক্ষায়। তার পরেই মিলবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। এতে বিপুল লাভবান হওয়ার আশায় কৃষকরা। এই বিশেষ প্রোজেক্ট বেছে নেওয়া হয়েছে দুজন কৃষককে।
টন টন লাল লঙ্কা যাবে জাপানে, সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার হাত ধরে কৃষকদের জীবনেও আসবে সুদিন এই আশায় দিন গুনছেন কৃষকরা।
একজন কৃষক জানিয়েছেন, 'এখনও পর্যন্ত ১৬০ কেজি লঙ্কা আমরা পাঠাতে পেরেছি জাপানে। আমার কাছে Approx সারাবছরে ৩০০০ কেজি আমার থেকে নিতে চাইছে। শুধু আমার থেকে লঙ্কা নিতে চাইছে।
জাপানে লাল লঙ্কার চাহিদা প্রচুর। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড থেকে লঙ্কা কেনে সেখানকার বিভিন্ন রেঁস্তোরা। দামও অনেক বেশি। সেখানে সিঙ্গুরে লাল লঙ্কার দাম অনেকটাই কম। তাই এখানে উন্নতমানের লঙ্কা উৎপাদনে নজর দিয়েছে জাপানী সংস্থা। চাষও হচ্ছে তাদের দেখিয়ে দোওয়া পথে। এখন অর্ডার পাওয়ার অপেক্ষা।
জাপানে যে রেস্টুরেন্ট আছে, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, সেখানে লাল লঙ্কার প্রচুর ডিমান্ড। সবুজ লঙ্কা নয়, লাল লঙ্কা, তারা এই লাল ৬ ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ড থেকে প্রুচুর হাইপ্রাইসে কেনে। ৪০০/৫০০/৬০০/১০০০ টাকা কেজি। কিন্তু, আমাদের এখানে লঙ্কার ম্যাক্সিমাম কেজি ১০০ টাকা। সেটা যদি এক্সপোর্টের খরচ আরও ১০০টাকা ধরে নিই আমরা কেজিতে, জাপান ওটা সহজেই ৩০০ টাকাতে কিনতে পারছে। সুতরাং তারা নিজেদের প্রয়োজনে, রেস্টুরেন্টগুলোকে সাপ্লাই করার জন্যে ওদের যে বর্তমানে থাইল্যান্ড বা ভিয়েতনাম থেকে কিনছে, তার থেকেও কিন্তু কমপ্রাইসে আমাদের কে দিতে পারবে। মানে আমরা তাদেরকে সাপ্লাই করতে পারব।'
মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, কৃষক দুটো পয়সা পাক। আমাদের রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ইকো কেএসডব্লু জাপানের এই সংস্থা তারা এই কাজ সিঙ্গুর থেকেই তারা করছে, এবং বাণিজ্যিকভাবে লঙ্কা নিয়ে গিয়ে তারা টেস্ট করছে, এবং সেখানে টেস্টে অ্যালাউ হলেই বাণিজ্যিক ভাবে এখান থেকে রপ্তানি শুরু হবে।