• নেই মালিক-কর্মচারী, ক্রেতারা নিজেই বানান চা! আন্তর্জাতিক চা দিবসে এক অন্য দোকানের গল্প
    প্রতিদিন | ২১ মে ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: ‘এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই…’ বাঙালির এমন আকুতি বিশ্বজনীন! এককথায় বলতে হলে, বৃষ্টি হলেও বাঙালির চা চাই, বৃষ্টি না হলেও চা চাই! শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, বাঙালির চা-ই ভরসা! তবে শুধু চা হলে চলবে না, সঙ্গে চাই চায়ের দোকানের আড্ডা। যেখানে এক কাপ চায়ে, চিন থেকে চিনি, আবার মঙ্গল অভিযান থেকে মঙ্গলচণ্ডীর ব্রত, সব নিয়েই ঝড় তোলা যায়। কিন্তু যদি সেই দোকানে গিয়ে নিজেকেই চা বানাতে হয়! তবুও বাঙালির চা প্রেম বা আড্ডা কোনওটাই থমকে থাকে না, তা প্রমাণিত। কীভাবে? চলুন, আন্তর্জাতিক চা দিবসে এমনই এক চায়ের দোকানের গল্প জেনে নেওয়া যাক।

    একটি চায়ের দোকান। সেখানে একজন ব্যক্তি চা-বানাচ্ছেন। সাধারণের দৃষ্টিতে তাঁকে দোকানের মালিক বা কর্মচারী বলে মনে হবে। কিন্তু, আদতে তা নয়। যিনি চা-বানাচ্ছেন, তিনি নিজেই একজন গ্রাহক। আন্তর্জাতিক এমনই এক চায়ের দোকানের হদিশ মিলল হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের কালীবাবুর শ্মাশানঘাটের সামনে। কিন্তু, একজন গ্রাহক কেন চা-বানাচ্ছেন। কারণ, এই দোকানের কোনও মালিক নেই। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা এসে পালা করে চায়ের দোকান চালান। স্থানীয় খদ্দেররা নিজে হাতেই চা ঢেলে নেন।এমনকী, শ্মশানে আসা লোকজনকে চা পরিবেশনও করেন স্থানীয়রা। এই দোকানে এখনও মাত্র পাঁচ টাকায় পাওয়া যায় দু’কাপ চা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)