• ওবিসি সংরক্ষণে স্নাতকে ভর্তিতে জটিলতা! আইনি পথ খুঁজছে রাজ্য
    প্রতিদিন | ২১ মে ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির জটিলতা কাটাতে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এব্যাপারে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও উন্নয়ন দপ্তরের কাছ থেকেও সুরাহার পথ খোঁজা হচ্ছে। রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের ভর্তিতে যাতে কোনও ধরনের অসুবিধা না হয় এবং বিকল্প কোন পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া মসৃণ করা যায়, তার জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তর এবং আইন বিভাগ একযোগে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এদিকে স্নাতকে ভর্তির যে অভিন্ন পোর্টাল রয়েছে, তা ২১ মে, আজ বুধবার থেকে খোলার কথা ছিল। কয়েকদিন বাদে এই পোর্টাল খোলা হবে বলে উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবর।

    বিরোধীদের মামলার প্রেক্ষিতে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন সেই মামলা। এই জটিলতা কাটাতে রাজ্য সরকার যেমন উদ্যোগী হয়েছে, তেমনই রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজের মতো করে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন আইনি পরামর্শ নিচ্ছে, তেমনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও আইনি পথে দ্বারস্ত হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, “রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্ত হয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করা হতে পারে। সেই বিকল্প ব্যবস্থা আইনজীবী ও আদালতই দিতে পারবে। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের আইন বিভাগের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, দ্রুত সমাধানের পথ বেরোবে।”

    এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই সব ধরনের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে।যাদবপুরের লাইব্রেরি সায়েন্সের ভর্তির তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১৬৯টি কলেজ রয়েছে, কলেজগুলির অধ্যক্ষরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। এদিকে স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রেও সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তবে একাদশে যেহেতু সিংহভাগ পড়ুয়া তার নিজের স্কুলেই ভর্তি হয়, তাই ভর্তিতে জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। কয়েকটি স্কুলে এই জটিলতা দেখা দেওয়ায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ‘মৌখিক’ নির্দেশে সমস্যা তেমন তৈরি হয়নি। যদিও গত শিক্ষাবর্ষে জুন-জুলাই মাসে রাজ্যের কলেজগুলিতে স্নাতকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তাই বেশ কিছু সময় এখনও রয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে ভর্তির বিকল্প পথ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ভর্তির এই জটিলতা নিয়ে রাজ্যের কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সংগঠন সারা বাংলা অধ্যক্ষ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানস কবি বলেন, “উচ্চশিক্ষা দপ্তর দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে। এ সমস্যা সমাধানেও দ্রুত পথ দেখাবে বলে আশা করি।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)