• বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি ছেড়েছিলেন, হ্যাম রেডিও তিন মাস পর বাড়ি ফেরাল যুবতীকে...
    আজকাল | ২২ মে ২০২৫
  • মিল্টন সেন,হুগলি: বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি ছেড়েছিলেন। চুঁচুড়ার শিক্ষিকার চেষ্টায় হ্যাম রেডিওর সাহায্যে তিন মাস পর বাড়ি ফিরলেন যুবতী। জানা গেছে,গত ২১ ফেব্রুয়ারী বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি ছেড়েছিলেন বছর ছাব্বিশের যুবতী মিতা চক্রবর্তী। বাড়ি ক্যালকাটা ডায়মন্ড পার্ক খালপাড় হরিদেবপুর থানা এলাকায়।

    গত ২২ ফেব্রুয়ারি ধনিয়াখালি থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করে যুবতীকে। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলতে থাকে। গত ৮ মার্চ যুবতীকে আইসোলেশান ওয়ার্ডে শিফট করে দেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত একজন নার্স হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলের শিক্ষিকা শুভ্রা ভট্টাচার্যকে যুবতীর বিষয়ে বিস্তারিত জানান। শিক্ষিকা একটি সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। যে সংগঠন নানা ধরনের সমাজসেবা মূলক কাজ করে থাকে।

    এদিন শুভ্রা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তার কিছুদিন পর যুবতীর সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন যুবতীর মানসিক অসুস্থতা রয়েছে। নানা ভাবে চেষ্টা করেও তাঁর বাড়ির বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি। টানা এক মাস সাইকিয়াট্রিস্ট দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে ওষুধ নিয়ে নিয়ম করে খাওয়ানো হয়। ওষুধ খেয়ে যুবতী সুস্থ হতে শুরু করেন। কয়েকদিন আগে তিনি জানান নিজের নাম, ঠিকানা। তবে বাড়ি যেতে চান না, সেটাও জানান। হোমে রাখার কথা বললে, সেখানেও যে যেতে নারাজ, তাও জানান।

    এরপর হ্যাম রেডিওর অম্বরিশ নাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তিনি কয়েক ঘন্টার মধ্যে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুবতীর দাদার ফোন নম্বর দেন। মঙ্গলবার রাত ৯ টায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। দাদা তাপস চক্রবর্তী একমাত্র বোনের জন্য উদগ্রীব ছিলেন। কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে, অনেক থানা পুলিশ করেও কিছুতেই বোনের সন্ধান পাননি। বুধবার সকালে তিন মাস পর বোনকে ফিরিয়ে নিতে চুঁচুড়ায় আসেন যুবতীর দাদা। বোনও দাদাকে দেখে জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন। হাসপাতালে এতদিন যাঁরা তাঁকে দেখাশোনা করেছেন তাদেরও চোখ ছলছল করে ওঠে।

    ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)