অভিরূপ দাস: ইএনটি বিভাগের এক চিকিৎসক-অধ্যাপকের মন্তব্য ঘিরে শোরগোল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ, ওই অধ্যাপক সংখ্যালঘু এক ছাত্রের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছেন।
ছাত্রছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ,”সংখ্যালঘু এক ছাত্র লম্বা দাড়ি রেখেছিলেন। ইএনটি বিভাগের অধ্যাপক ডা. বিজন অধিকারী তাঁকে বলেছেন, এ ধরনের দাড়ি আতঙ্কবাদীরা রাখে।” এরপরেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষর ঘর ঘেরাও করে একদল ছাত্রছাত্রী। তারা স্লোগান দিতে থাকে। দ্রুত ওই অধ্যাপককে ডেকে পাঠান অধ্যক্ষ। এই ঘটনার পর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ডা. বিজন অধিকারী।
বুধবার বিকেলে মেডিক্যাল কলেজের এআইডিএসও ছাত্র সংসদের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে অভিযুক্ত অধ্যাপক ডা. বিজন অধিকারীকে বরখাস্ত করতে হবে। এই ঘটনায় স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। মেডিক্যাল কলেজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন অবিলম্বে তা নিতে হবে। অন্যদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, “নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আজ তারা রিপোর্ট দেবে। ঘটনায় অনুতপ্ত ওই অধ্যাপক। তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।”
এ ঘটনায় পোস্টার পড়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। যেখানে লেখা রয়েছে, “কলেজ হোস্টেলে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিসর ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে ঐক্যবোধ হন।” এআইডিএসও-র পক্ষ থেকে শিবম মণ্ডল জানিয়েছেন, দেশজুড়ে সুচতুরভাবে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের বিষ বাষ্প ছড়ানো হচ্ছে। তার প্রভাব এসে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সম্প্রতি একটি বিশেষ ধর্মালম্বী একাধিক ইন্টার্নের প্রতি সাম্প্রদায়িক ঘৃণ্য মন্তব্য করেছেন ইএনটি বিভাগের অধ্যাপক। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।