আন্দোলনকারী ২ শিক্ষক নেতাকে থানায় যাওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ২২ মে ২০২৫
গোবিন্দ রায়: বিকাশ ভবনের সামনে ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা এখনও অবস্থান বিক্ষোভে শামিল। দুই শিক্ষক নেতাকে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ। ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ কোনারের বিরুদ্ধে আপাতত কোনো কড়া পদক্ষেপ নেবে না পুলিশ। বুধবার রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’জনকে আজই থানায় যেতে বলুন। গিয়ে বলুন যে কারা ছিল, আমরা এই দুজনকে কিছু করব না।” রাজ্যের আশ্বাসের ভিত্তিতে তাঁদের তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ। বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি।
রাজ্যের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, হুলিগানের মতো আচরণ করেছেন বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা। পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এই কথা শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন, “এই আন্দোলনের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল? ৫০-১০০ জন আন্দোলনকারীরা সেন্ট্রাল পার্কে থাকুন। সরকারি কর্মচারী যেন আহত না হন।”
বিচারপতির প্রাথমিক প্রস্তাব, বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা শিক্ষকরা সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান করতে পারেন। বায়ো টয়লেট, পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে।
রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতে জানান, রাজ্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে। অন্তঃসত্ত্বাকে আটকানো হয়েছে। তা শুনে অবশ্য বিরক্ত হন বিচারপতি।
তিনি বলেন, “আপনারা শিক্ষক। শিক্ষকের মতো আচরণ করুন। না হলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারা শিক্ষক, আপনাদের অবস্থা আমি বুঝি, কিন্তু সব সরকারি কর্মী তো যুক্ত নেই।”
একথা শুনে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখুন, এরা শিক্ষক? বিকাশ ভবনের দরজা, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলা হয়েছে। একজন আরেকজনের উপর উঠে দেওয়াল পেরোচ্ছেন। এরা আমাদের রাজ্যের শিক্ষক? আমরা কিছুই করতে পারব না, তারা শুধু লুঠ করবেন। এটা শুধু আন্দোলনকারীদের জীবনের কথা নয়, বাকিদের কথাও ভাবতে হবে। রাজ্য রিভিউ করছে। দেশের একনম্বর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি তাঁদের হয়ে লড়ছেন। সুপ্রিম কোর্ট পরীক্ষা নিতে বলেছে। আমরা কি করব? দেখুন রাজ্যের ইতিহাস খতিয়ে দেখলে এটা বন্ধ করা সম্ভব না। এই দু’জনকে আজকে থানায় যেতে বলুন। গিয়ে বলুন যে কারা ছিল, আমরা এই দুজনকে কিছু করব না।” এরপর ওই দুই শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল এবং সুদীপ কোনারকে থানায় যাওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “আপনারা পুলিশের কাছে যান। পুলিশ আপনাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে না।