তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: রাজ্য পুলিসের একাধিক কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে সরাসরি রাজ্য পুলিসের ডিজি, উত্তরবঙ্গের আইজি সহ পদস্থ কর্তাদের সতর্ক করেন। পাশাপাশি পুলিসের অন্দরে ‘গ্রুপবাজি’ নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় পুলিসের ভিতরে গ্রুপবাজি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহারে পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যর কাছে সরাসরি জানতে চান, চন্দন দাস নামে ডিএসপি’কে হেড কোয়ার্টারে কেন বসিয়ে রাখা হয়েছে? উনি কাজ করতে চাইলেও কেন কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না? বিষয়টি এসপি’কে দ্রুত দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, পুলিসের মধ্যে গ্রুপবাজি কেন থাকবে? রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে গ্রুপবাজি থাকতে পারে, পুলিসের মধ্যে এটা কেন হবে? এটা চলতে পারে না।
প্রশাসনিক সভায় কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া অভিযোগ করেন, নতুন রাস্তা তৈরি করার সময় দেখা যাচ্ছে হেভি লোডেড ট্রাক এবং বিভিন্ন যানবাহন গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে গ্রামীণ রাস্তাগুলি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে কারও কোনও নজরদারি নেই। বিষয়টি শুনে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। পাশে বসে থাকা রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমারকে তৎক্ষণাৎ বলেন, বারবার করে বলা সত্ত্বেও এই বিষয়ে কেন নজর দেওয়া হচ্ছে না? জেলায় জেলায় এরকম অসুবিধা হচ্ছে। টাকা খেয়ে কেউ গ্রামীণ রাস্তায় হেভি লোডেড গাড়ি নিয়ে গেলে কোনওমতেই মানা হবে না। আর কবে এসব দেখা হবে? নতুন রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে পুরনো ভালো রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। পুলিসকে এই বিষয়ে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ কিছু করছে না। টাকা না থাকা সত্ত্বেও কষ্ট করে উন্নয়ন করা হয়। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
নাগাল্যান্ড, মিজোরাম থেকে কী কী পণ্য পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে সেই বিষয়ে নজরদারি নিয়েও পুলিসের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিসের উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ কুমার যাদবকে সরাসরি সভায় তিনি সতর্ক করেন। বলেন, অভিযোগ অনেক আসছে। আর কিছু বলব না।