• সীমান্তবর্তী জেলার নিরাপত্তায় ডিএম, এসপিদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী
    বর্তমান | ২২ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: মালদহে বারবার কেন অশান্তি? ভার্চুয়াল সভা থেকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই সীমান্তবর্তী জেলার  ডিএম, এসপিদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। 

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও ঘটনা ঘটিয়ে কেউ যাতে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সেটা সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে। সীমান্ত এলাকা খুব স্পর্শকাতর। ভালো করে লক্ষ্য রাখবেন। বিএসএফ দায়িত্বে আছে বলে আইসি, ওসিরা চোখ-কান বুজে বসে থাকবেন না। 

    এদিকে সীমান্তবর্তী মালদহ জেলার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা পুলিস ডিএসপি (ক্রাইম) পদ তৈরি করেছে। পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, মালদহের একদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে। অন্যদিকে, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড সীমানা। এখানকার ভৌগলিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নতুন পদ গঠন করা হয়েছে।

    রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির মধ্যে মালদহ অন্যতম। এই জেলায় দেড়শো কিমির কিছু বেশি বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৩০ কিলোমিটার সীমান্তই উন্মুক্ত। সেখান দিয়ে হামেশাই অনুপ্রবেশ, চোরাচালান হয়ে চলেছে। 

    মালদহের হবিবপুর সীমান্তে গত কয়েকমাসে কয়েকজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে বিএসএফ। কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগরের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হচ্ছে জালনোট। ফলে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা থাকছেই।

    প্রসঙ্গত, দু’মাস আগে অশান্তি শুরু হয় মালদহের মোথাবাড়িতে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিস ও প্রশাসনের তৎপরতায় দু’দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

    মুখ্যমন্ত্রীর সীমান্ত এলাকায় সতর্কতার নির্দেশ প্রসঙ্গে জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, জেলার সমস্ত ব্লকে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বিডিও এবং আইসিদের মধ্যে খুব ভালো সমন্বয় আছে। যে কোনও অশান্তি আটকাতে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার গোয়েন্দা বিভাগকে আরও শক্তিশালী এবং সক্রিয় করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই অশান্তি রুখতে জেলা পুলিস, রাজ্য পুলিস,বিএসএফ সহ সমস্ত এজেন্সির গোয়েন্দাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন জেলাশাসক।  
  • Link to this news (বর্তমান)